প্রায় ১৩ মাস পর ভারতীয় টেস্ট দলে ফিরে ১৬০ বলে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে রোহিত শর্মার স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন হলো বলা যেতে পারে। একদিনের আন্তর্জাতিকে একমাত্র ব্যাটসম্যান, যার দু’দুটো ডাবল সেঞ্চুরী, তার টেস্ট দলে ব্রাত্য থাকাটা অনেকটাই রোহিতের দুর্ভাগ্য বলা যায়। ২০১০ সালে প্রথম টেস্ট খেলার সুযোগ এসেছিল এই নাগপুরের মাঠেই সাউথ আফ্রিকার সাথে, দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষণের চোট লেগেছিলো, রিজার্ভে থাকা রোহিত শর্মার অভিষেক ম্যাচ হিসাবে খেলারও কথা, কিন্তু প্র্যাক্টিসের সময় হঠাৎ পাওয়া চোট সব কিছু পালটে দেয়। ঋদ্ধিমান সাহার সেই ম্যাচে অভিষেক হয়। সেই বছরই ওয়ানডেতে জিম্বাবয়ের বিরুদ্ধে তার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে সেঞ্চুরী(১১৪) করেন। কিন্তু তার টেস্ট অভিষেক হতে ৩ বছর লেগে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সচিন তেন্ডুলকরের ফেয়ারওয়েল সিরিজের সময় তার অভিষেক হয়। যদিও তখন বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলির টেস্ট অভিষেক হয়ে গিয়েছিল, সাথে চেতেশ্বর পুজারা এবং সুরেশ রায়নারও টেস্টে অভিষেক হয়েছিল।
তবে জীবনের প্রথম টেস্ট ম্যাচে তার ১৭৭ রান কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে করা, তারপর মুম্বাইয়ে অপরাজিত ১১১ রান তাকে টেস্ট দলে একটা জায়গা করার সুযোগও দিয়েছিল। কিন্তু বিদেশের মাটিতে তার ব্যর্থতা আবার তাকে দলের বাইরে করে দেয়। মাঝে মাঝে দলে যে সুযোগ পায়নি যে তা নয়, কিন্তু দলের মিডল অর্ডারে অধিনায়ক বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পুজারা এবং অজিঙ্ক রাহানে যথেষ্ট ভালো ব্যাট করায় তার কাছে দলে পাকাপাকি ভাবে সু্যোগ পাওয়া হয়ে ওঠেনি। সদ্য শেষ হওয়া নাগপুরে ভারত শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টে ৪ বোলার খেলানোয় এবং ভুবনেশ্বর কুমারের না থাকায় তার কাছে ৬নং ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলার সুযোগ আসে। সুযোগটাকে পুরোপুরি ভাবে কাজে লাগান রোহিত শর্মা। তিনি তার ২২নং টেস্টে ৩ নম্বর সেঞ্চুরী করে আবার চর্চায়। পরের ২ ডিসেম্বর দিল্লী টেস্টেও আশাকরি তিনি রিজার্ভে থাকবেন না।
এর মধ্যেই আসন্ন ভারত শ্রীলঙ্কা একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ ১০ ডিসেম্বর থেকে ধর্মশালায় শুরু হতে চলেছে। বিরাট কোহলি বিশ্রাম নেওয়ায় জাতীয় নির্বাচকরা অধিনায়ক হিসাবে তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
– রাজকুমার ঘোষ
Be the first to comment