মঙ্গলবার ২৮শে নভেম্বর, বিধানসভায় বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল গৃহীত হলো। এক্ষেত্রেও বিরোধীরা নানা অজুহাত দেখিয়ে কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় নিজের ঘরে বলেন, যেভাবে বিশ্ববাংলাকে সামনে রেখে যে প্রেক্ষাপট নিয়ে বাম-কংগ্রেস বিক্ষোভ করলো তা এককথায় নিন্দনীয়। সিপিএমের অপদার্থতার জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে বামফ্রন্ট আমলে নৈরাজ্য নেমে এসেছিলো। ওদের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সংখ্যা ছিল এখন তার সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশি হয়েছে। আমরা এগুলি করেছি। এরকমই একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমের বোলপুরে। এটির নাম বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়। বিরোধীরা অকারণে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ জানায়। পরে ওয়াক আউট করে। পার্থবাবু বলেন, বিক্ষোভের যে কারণ অর্থাৎ বিশ্ববাংলা যে নাম তা নিয়ে কোনো সংশোধন প্রস্তাব কোনো সদস্য দেয়নি। এছাড়াও বিশ্ববাংলার যে লোগোর কথা বলেছেন বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেই লোগোর কোনো সম্পর্ক নেই। আসলে বিরোধীরা সভা সমাবেশের বাইরে কোনো লোক হচ্ছে না বলে বিধানসভায় চেঁচামেচি করে ভেসে ওঠার চেষ্টা করছেন। বোলপুরে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অযথা বিতর্ক করে বিরোধীরা বাংলার স্বার্থকে বিসর্জন দিলেন। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিধায়করা পাহাড়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা বিধানসভায় বলেন। পরে পার্থবাবু জানান, পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস করেছেন। পার্থবাবু এও জানান, আগামীকাল অর্থাৎ ২৯ তারিখ বিধানসভার অডিটোরিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাম-কংগ্রেস বিধায়কেরা অনুপস্থিত থাতার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ওরা ওদের রুচির পরিচয় দিয়েছে।
Be the first to comment