ঘূর্ণীঝড়ের সতর্কবার্তা পেয়েই তৈরি ছিল রাজ্য। ৪২ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়। সচেতন থাকাতেই এড়ানো গিয়েছে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি। বাড়ি ভেঙেছে যাঁদের তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে একথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, সতর্ক থাকায় দুর্যোগ এড়ানো গিয়েছে ৷ প্রশাসন প্রথম থেকে সতর্ক ছিল ৷ ৭ দিন আগে দুর্যোগের খবর পাই ৷ উপকূল এলাকায় বাড়তি নজর ছিল ৷ কলকাতাতেও পুরসভা সজাগ ছিল ৷ ২৪ ঘণ্টা ধরে মনিটরিং চলেছে ৷ দুর্যোগে কিছু মানুষের ক্ষতি হয়েছে ৷ ৪২ হাজার মানুষকে সরিয়েছি ৷
এছাড়াও, বহু জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে ৷ ক্যানিং, কাকদ্বীপে বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে ৷ ডায়মন্ড হারবারেও বিদ্যুতের সমস্যা আছে ৷ দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিকের চেষ্টা হচ্ছে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মালিকদের সাহায্য দেবে সরকার ৷ জেলাশাসকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফণীতে বিধ্বস্ত বাংলার একাংশ ৷ কৃষিজ ফসলে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভাঙড়ে ৷ নষ্ট হয়েছে প্রচুর কলা গাছ ও বিপুল পরিমাণে পাকা ধান, উচ্ছে, ঝিঙে, শসা-সহ বেশ কিছু মরসুমি কৃষিজ ফসল ৷ অন্যদিকে, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাও ৷ তবে, ফণীর জেরে রাতভর সজাগ ছিল প্রশাসন ৷ প্রতিটি মুহূর্তের উপর কড়া নজর রেখেছিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা ৷ বাংলাদেশের দিকে ঘুরে গেলেও বিপর্যয়-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শনিবার বিকেল পর্যন্ত যেকোনও মুহূর্তে আবারও ঝড়বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে ৷ সেই কারণে নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ৷
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কয়েক মিনিটের বিধ্বংসী ঝড়ে রাজ্যজুড়ে বেশ কিছু সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ৷ গাছপালা রাস্তার উপর উপড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে ১২টি কাঁচা বাড়ি ৷ এছাড়াও প্রায় ৮০০ টি বাড়ি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ তবে, সেই সমস্ত বাড়ি এবং রাস্তাঘাট দ্রুত পুনর্নিমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ রাস্তায় উপচে পড়া গাছ দ্রুত সরানো হচ্ছে ৷
অন্যদিকে, ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে দীঘা, মন্দারমনি এবং ডায়মন্ড হারবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৷ বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে ৷ ফলে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ দ্রুত তা মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ আগামী দু’দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷
মমতার দাবি, ‘আবহাওয়া দফতরের সঠিক পূর্বাভাসের জন্য প্রায় ৪২ হাজার জনকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল ৷ আগামী দু’দিনের মধ্যেই ঘরছাড়া মানুষজনকে দ্রুত ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হবে ৷ গত এক সপ্তাহ ধরেই আমি খুব চিন্তিত ছিলাম ৷ প্রতিটি মুহূর্তের উপর নজর রাখা হচ্ছে ৷ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম গোটা বিষয়টির উপর নজর রেখেছিলেন ৷ প্রশাসন প্রতিটি বিষয়েই যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে ৷ এছাড়াও রাজ্যের সাধারণ মানুষের সহযোগিতার জন্যও তাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ ৷’
মমতার বার্তা-
*#Trinamool*
May 4, 2019
*Statement of Mamata Banerjee on the effect of Cyclone Fani in West Bengal*
As of now, the cyclone has moved on towards Bangladesh. But, there may be after-effects, which will last till the evening.
Electric poles have been uprooted, trees felled, roads affected. 12 kachcha houses collapsed, over 800 houses have been partially affected. We will take care of the restoration work. Felled trees have been removed and roads have been cleared in most of the areas.
Restoration work is complete in Digha, Mandarmani, Diamond Harbour and going on in full swing in other areas.
Electricity has been restored in most places. In the next two days, situation will be normal.
42,000 people were evacuated by the administration. They will be returned to their homes in one or two days
I was worried for the last one week. We have been constantly monitoring the situation and had taken all precautionary measures
Kolkata Mayor was up all night to monitor the situation. Administration took every measure
We have received cooperation from people. We want to thank them*ends*
Be the first to comment