আমাদের সম্পূর্ণ সৌন্দর্যের অনেকটা জুড়ে থাকে চুল। সে ছেলেই হোক বা মেয়ে কেউই অকালে সেটাকে হারিয়ে ফেলটে চাইবেনা। আর সেই চুলের সমস্যা নিয়েই তৈরী হয় যত চুলোচুলি…
একেই গ্রীষ্মকাল সবসময় মাথার স্ক্যাল্প ঘেমে থাকে আর তা থেকে চুল তো পড়বেই। সাথে খুসকির সমস্যা তো আছেই আর এই সবকিছু ছাড়াও এইসময় স্ক্যাল্পে অনেক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয় যেগুলো চুলের বাড়ন্ততে সমস্যার সৃষ্টি করে। ত্বকের সাথে সাথে তাই চুলেরও যত্ন নেওয়া দরকার…
সবার আগে বলব প্রত্যহ শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুতে যেটা খুবই দরকারি। অনেকেই মনে করেন রোজ মাথায় শ্যাম্পু করা হয়তো ক্ষতিকর কিন্তু রোজ যদি কেউ চুলে শ্যাম্পু করে তাহলে তার ৫০% চুলের সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। আর একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যে আমরা বিশেষ করে ছেলেরা যদি রোজ মুখ পরিষ্কার রাখি তাহলে চুল পরিষ্কার রাখবনা কেন?
ফ্লোরার চারটি শ্যাম্পু আছে, যে যার চুল অনুযায়ী যেকোনো একটা বেছে নিলেই পারেন বা মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোপেকিয়া শ্যাম্পু খুব শুকনো আর রুক্ষ চুলের কালার/কেমিক্যালের সমস্যার জন্য।
অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু খুসকির সমস্যার জন্য৷ ভলিউম শ্যাম্পু হলো মোটামুটি সবধরণের সাধারণ চুলের জন্য ব্যবহার করতেই পারেন৷ অ্যান্টি হেয়ার ফল, এটা শুষ্ক চুলের জন্য চুল পড়া সমস্যার জন্য ব্যবহার করতে হবে।
এতো গেলো শ্যাম্পু, এবার প্রত্যহ চুলের জন্য একটা টনিক ব্যবহার করতে হবে৷ এবং সেটা ব্যবহার করাও খুবই দরকারি। তার ফলে চুল বাড়বে এবং খুসকি, চুলকানি বন্ধ হয়ে যাবে৷
ফ্লোরা’স অ্যালোপেকিয়া টনিক রোজ ব্যবহার করলে চুলের যে কোনো সমস্যা চলে যাবে এবং নতুন চুল গজাবে। ফ্লোরা’স হেয়ার লোশন সাধারণত তারা ব্যবহার করতে পারেন যাদের খুব বেশি কিছু সমস্যা দেখা দেয়নি৷ এর সাথে সপ্তাহে একদিন ফ্লোরা’স হেয়ার প্রোটেকশন প্যাক ব্যবহার করতেই হবে চুলে পুষ্টি জোগাবে৷ বাইরে থেকে চুলকে সুন্দর দেখানোর জন্য ফ্লোরা’স হেয়ার স্পা ও সিরাম অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
তবে এর সাথে সাথে প্রচুর পরিমানে জল খেতে হবে। ক্যালসিয়াম অবশ্যই খেতে হবে, এবং ভিটামিন ডি নিতে হবে…
এগুলো যদি প্রতিদিন করা যায় তাহলে আপনার চুল নিয়ে চুলোচুলি আপাতত বন্ধ হয়ে যাবে এটুকু জোর দিয়ে বলা যেতেই পারে৷
গত সপ্তাহের বিষয়
Be the first to comment