দুর্নীতি, ঘুষ নেওয়া ও যৌন হেনস্থার একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ১২ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ার নির্দেশ দিল অর্থমন্ত্রক। এই ১২ জন আধিকারিকের মধ্যে ৮ জনকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। এদের মধ্যে রয়েছেন চিফ কমিশনার, প্রিন্সিপ্যাল কমিশনার ও কমিশনার পদের আধিকারিকও।
সূত্রের খবর এঁরা সকলেই বড় মাপের আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। এই প্রথম একসঙ্গে এতজন অফিসারের বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আধিকারিকরা সকলেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সাম্লাচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ চিফ প্রিন্সিপাল কমিশনের পদেও কাজ করছেন বলে খবর। তালিকায় রয়েছেন অশোক আগারওয়াল। তিনি আয়কর দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা। এ ছাড়া ইডি-র প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর এস কে শ্রীবাস্তব-সহ বেশ কয়েকজন প্রবীণ আধিকারিক রয়েছেন তালিকায়।
আয়করের যুগ্ম অধিকর্তা অশোক আগারওয়াল দীর্ঘদিন ধরে সাসপেন্ড হয়ে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি ছাড়াও স্বঘোষিত ধর্মগুরু চন্দ্রস্বামীকে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে। ইডির প্রাক্তন কর্তা এসকে শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ দুই মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন তিনি। সরকারি নির্দেশনামায় বলা হয়েছে এই আধিকারিক নিজের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়ায় দেরি করছিলেন।
সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে গত ১০ বছরে ৭৫ টি আবেদন করেছেন তিনি। এর মধ্যে তাঁর নিজের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন আধিকারিকের বদলি এবং পদোন্নতি নিয়েও মামলা আছে। সে কারণেই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে গত দু-তিন বছর কেন্দ্রীয় সরকার আধিকারিকদের বদল করা বা পদোন্নতি দেওয়া কোনটাই করতে পারেনি। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে এই দুজনের পাশাপাশি হোমি রাজবংশী নামে আরও এক রাজস্ব আধিকারিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে অভিযোগ। আয়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সম্পত্তি তিনি করেছেন। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সাসপেন্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তিনিও বিভিন্ন জায়গায় মামলা করে নিজের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়ায় অকারণ দেরি করেছেন বলে অভিযোগ।
Be the first to comment