ভাটপাড়ায় রাতভর চললো পুলিশি তল্লাশি। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র। আরও ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবমিলিয়ে ভাটপাড়ার অশান্তিতে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভাটপাড়ায় নিহত হন ২জন। ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত হবে। মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে মৃতদেহ নিয়ে ভাটপাড়ায় শোকযাত্রা হবে। এদিকে শনিবার ভাটপাড়ায় বিজেপির সংসদীয় প্রতিনিধি দল যাবে।
আজও থমথমে ভাটপাড়া। বন্ধ দোকান-বাজার, শুনশান রাস্তাঘাট। ভাটপাড়া ও জগদ্দলে জারি ১৪৪ ধারা। ভাটপাড়ার মোড়ে মোড়ে পুলিশ পিকেট, রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে র্যাফ। চলছে পুলিশের কড়া টহলদারি। ভাটপাড়ায় বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। কেউ যাতে প্ররোচনা বা গুজব ছড়াতে না পারে তার জন্যই রাজ্য প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক যে নির্দেশিকা জারি করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, বারাকপুর, বসিরহাট, বনগাঁ মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা শুক্রবার মাঝরাত পর্যন্ত বন্ধ। তবে, বারাকপুর মহকুমার মধ্যে থাকা দমদম থানা, বিমানবন্দর থানা, এনএসসিবিআই এয়ারপোর্ট থানা এলাকাকে এই নির্দেশিকার বাইরে রাখা হয়েছে। শুক্রবার বারাকপুর সিপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি বিজেপির।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ফের রণক্ষেত্রর রূপ নেয় ভাটপাড়া। এলাকা দখল ঘিরে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে নিহত ৩। আহত চার। চলতে থাকে দফায় দফায় বোমাবাজি সঙ্গে গুলির লড়াই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস, শূন্যে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জগদ্দল ও ভাটপাড়ায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাজ্য প্রশাসন। কড়া হাতে ভাটপাড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই নবান্নে স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। এডিজি সাউথ বেঙ্গল সঞ্জয় সিংকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। বারাকপুরে ডিসি স্পেশাল ব্রাঞ্চ করে পাঠানো হয়েছে প্রশান্ত কুমার চৌধুরীকে। রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রও ভাটপাড়ায় যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বাড়তি পুলিশ বাহিনী এলাকায় পাঠানো হয়েছে। গন্ডগোলের জেরে উদ্বোধন থমকে গেলেও ভাটপাড়া থানা কাজ শুরু করেছে।
Be the first to comment