ভাটপাড়ায় নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পুলিশের দিকেই আঙুল তুললেন বর্ধমানের বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। শনিবার তাঁর নেতৃত্বে আসা সংসদীয় দলে এদিন সামিল ছিলেন উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন দুই পুলিশকর্তা ও বর্তমান সাংসদ বিডি রাম ও সতপাল সিং।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বোমা-গুলিতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া। মৃত্যু হয় রামবাবু সাউ ও ধরমবীর সাউ নামে দুই ব্যক্তির। তাণ্ডব রুখতে সে দিন দফায় দফায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে প্রায় ১৫ রাউন্ড গুলিও চালায়। সেই গুলিতেই দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ। যদিও পুলিশ প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করে, পুলিশের গুলি নয়, নিজেদের মধ্যে বোমা গুলির লড়াইয়েই মৃত্যু হয়েছে তাদের।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের সংসদীয় দল পাঠান স্বয়ং অমিত শাহ। আজ এলাকায় এসে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিন সাংসদ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংও।
এদিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এস এস আলুওয়ালিয়া জানান, নিহত রামবাবুর মা তাঁকে জানিয়েছেন, কচুরি কিনতে গিয়ে পুলিশের গুলি লাগে তাঁর ছেলের। অন্যদিকে ফুচকা বিক্রি করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ধরমবীর সাউ। তিনি বলেন, পুলিশ বারবার দাবি করছে শূন্যে গুলি চালানো হয়েছে, তবে কি মানুয উড়ছিল? সেখানে গুলি লেগে নীচে পড়ে গেছে। আর কোথাও কোনও সন্ত্রাস নেই। সমস্ত সন্ত্রাসই যে পশ্চিমবঙ্গেই চলছে, ভাটপাড়া তার প্রমাণ। আমরা দিল্লি গিয়ে অমিত শাহকে পুরো বিষয়টি রিপোর্ট করবো।”
সংসদীয় প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য বিডি রাম ও সতপাল সিং যেহেতু প্রাক্তন পুলিশকর্তা, তাই বিশেষ উদ্দেশ্যেই তাঁদের পরিদর্শক দলে সামিল করা হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এ দিন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এলাকার মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
এদিকে এদিন সকালেই এলাকা পরিদর্শনে যান বাম ও কংগ্রেসের প্রতিনিদি দলও। ভাটপাড়ায় বাম-কংগ্রেস প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সুজন চক্রবর্তী, মানস মুখার্জি সহ অনান্যরা।
Be the first to comment