কর্ণাটকে আস্থা ভোট ২২ জুলাই, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কুমারস্বামী

Spread the love

দিনভর টালবাহানার পর ঝুলেই থাকল কর্নাটকের ভাগ্য ৷ আস্থা ভোট হবে ২২ জুলাই, সোমবার ৷ শুক্রবার সন্ধে ৬টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হত ৷ দ্বিতীয়বারের জন্য কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে সময়সীমা বেঁধে দেন রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালা ৷ গতকাল রাতের মধ্যে আস্থাভোট প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য বিধানসৌধের স্পিকারকে পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু অধিবেশন মুলতুবি হওয়ায় ফের আজ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সময়সীমা দেন তিনি ৷ কিন্তু আজও অধিবেশন দুপুর ৩টে পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় আবারও পিছিয়ে যায় ভোট প্রক্রিয়া ৷ এবার ফের ৬ টা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কুমারস্বামীকে চিঠি দেন রাজ্যপাল ৷

অন্যদিকে কর্নাটক ইস্যু আবারও গড়ালো সুপ্রিম কোর্টে ৷ রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালার বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে এবার শীর্ষ আদালতে গেলেন এইচ ডি কুমারস্বামী ৷ শুরুটা হয়েছিল ১৬ বিধায়কের দল বদলকে কেন্দ্র করে ৷ আস্থাভোটের চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে ৷ কর্নাটককে নিজেদের দখলে রাখতে সব চেষ্টাই চালাচ্ছিল কংগ্রেস ও জনতা দল (সেকুলার) ৷ আর পরিস্থিতি বুঝে কর্নাটকে পতাকা দৃঢ় করতে আসরে নামে গেরুয়া শিবির ৷ সেই শুরু কর্নাটক সংকটের ৷ বিক্ষুব্ধ বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছিলেন স্পিকারের কাছে ৷ কিন্তু সেই ইস্তফা গ্রহণ করেননি তিনি ৷ এরপর প্রথমবার সুপ্রিম কোর্টে যায় কর্নাটক ইস্যু ৷

যদিও সেইসময়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল স্পিকার সিদ্ধান্ত নেবেন কার পদত্যাগ গ্রহণ করবেন কার করবেন না ৷ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল আস্থাভোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কাউকে জোর করা যাবে না ৷ সেই মতোই ঠিক হয়েছিল গতকাল আস্থাভোটের দিনক্ষণ ৷ কিন্তু দফায় দফায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে বিন্দুমাত্র অগ্রগতি হয়নি আস্থাভোটের ৷ এরপরই রাজ্যপাল ভালা স্পিকার কে আর রমেশকুমারকে বলেন, শুক্রবার বেলা দেড়টার মধ্যে আস্থাভোট সম্পূর্ণ করার জন্য ৷ কিন্তু রাজ্যপালের সেই প্রস্তাবের পরই ভালা জানান, আস্থাভোটের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ৷

তখন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে রাজ্যপাল জানান, আজ সন্ধে ৬টার মধ্যে আস্থাভোট শেষ করার জন্য ৷ কিন্তু সেই সময়সীমাও মানল না কর্নাটক সরকার বরং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন কুমারস্বামী ৷ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর অভিযোগ, রাজ্যের সাম্প্রতিক অচলাবস্থার জন্য বিজেপি দায়ী ৷ একইসঙ্গে রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালার বিরুদ্ধে দিল্লির হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছেন ৷ কুমারস্বামীর অভিযোগ, দিল্লি রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে ৷ যেভাবে রাজ্যপাল আস্থাভোটের জন্য সক্রিয় হয়ে উঠছেন, তার সমালোচনাও শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*