বিজয় রূপানির সভা থেকে শহিদের মেয়েকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ, সমালোচনায় মুখর রাহুল

Spread the love

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির সভা থেকে একটি মেয়েকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠলো একদল মহিলা পুলিশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সোশ্যাল মিডয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও। আর ভিডিওটি দেখে পরেই জানা যায়, মেয়েটির আসল পরিচয়। জানা যায়, ১৫ বছর আগে তার বাবা সীমান্তে প্রাণ হারান। আর সেই শহিদের মেয়েকে এভাবে হেনস্থা করায় বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন বিজয় রূপানি। রূপাল তাদভি নামে ২৬ বছরের ওই তরুণীর দাবি, তাঁর বাবা অশোক তাদভি বিএসএফে কাজ করার সময় শহিদ হওয়ার পর তাদের এক টুকরো জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বছরের পর বছর কেটে গেলেও কথা রাখেনি রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় শ্রোতার আসন থেকে আচমকাই মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান রূপাল। চেঁচিয়ে বলতে থাকেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। তবে ছুটে এসে তাঁকে সরিয়ে দেন মহিলা পুলিশকর্মীরা। এদিকে নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে ফায়দা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তাই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে শহিদের পরিবারকে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। ট্যুইট করে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী জানান, নিহতের পরিবারকে মাসিক দশ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে বার্ষিক ৩৬ হাজার টাকা পেনশন। এছাড়া চার একর জমি ও রাজ্য সড়কের পাশে আরও ২০০ বর্গমিটার জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিজয় রূপানি।

অন্যদিকে ঘটনার পর ট্যুইটারে ভিডিওটি পোস্ট করেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী। রূপানিকে পরম দেশভক্ত বলে কটাক্ষ করে রাহুল ট্যুইটারে লেখেন, এক শহিদ কন্যাকে তাড়িয়ে মানবতাকে লাঞ্ছিত করেছেন উনি। ১৫ বছর ধরে ন্যায়বিচারের বদলে শুধু ফাঁকা প্রতিশ্রুতিই পেয়েছে পরিবারটি।


 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*