রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত সদস্যদের সাম্মানিক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্ন সভাঘরে জেলা পরিষদের প্রায় ৮০০ সদস্যকে বৈঠকে ডেকেছিল রাজ্য সরকার। এই বৈঠকের পরেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদস্য এই সাম্মানিক বৃদ্ধিতে সরকারের প্রায় ২২০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে নিজেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামসভা, পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলা পরিষদ, সদস্যদের কাজ করতে হয় সারাক্ষণ। সেই তুলনায় তাঁরা হাতে কম টাকা পান। কার্যত বিনা পয়সায় তাঁদের কাজ করতে হয়। জেলাপরিষদের সভাধিপতিরা ৬,৬০০ টাকা করে পেতেন। সেখানে তা বাড়িয়ে ৯ হাজার টাকা করা হয়ছে। সহ সভাধিপতি পেতেন ৫ হাজার টাকা। সেটা বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। কর্মাধ্যক্ষদের সাম্মানিক ৪ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার টাকা করা হয়েছে। আর সাধারণ সদস্য যাঁরা দেড় হাজার টাকা করে পেতেন, তা বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে যাঁরা সাড়ে ৩ হাজার টাকা পেতেন, তাঁদের ছয় হাজার টাকা করা হয়েছে। সহ সভাপতি, যাঁরা পেতেন ৩ হাজার টাকা, তা বাড়িয়ে ৫,৫০০ টাকা করা হয়েছে। কর্মাধ্যক্ষদের সাম্মানিক আড়াই হাজার থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করা হয়েছে। সাধারণ সদস্য যাঁরা দেড় হাজার টাকা করে পেতেন, তাঁদের এবার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দেওয়া হবে।
পাশাপাশি গ্রাম প্রধানরা ৩ হাজার করে পেতেন, তা বাড়িয়ে ৫ হাজার করা হয়েছে। উপপ্রধানরা ২ হাজার টাকা করে পেতেন, তা বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। সঞ্চালকরা পেতেন ১৮০০ টাকা, তা বাড়িয়ে ৩৮০০ টাকা করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সদস্যরা ১৫০০ টাকা করে পেতেন, তাঁদেরটা বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভোট আসলে এরা হিন্দু মুসলমান করে, পুজো কমিটি গুলোকে ইনকাম ট্যাক্স ডাকে, ফেস্টিভ্যালে পুজো কমিটি আর চারদিন এই পুরো বিশ্বের মানুষের কাছে বিস্ময়, সারাদেশের বিভিন্ন মানুষ আছে৷
যে টাকা ভোটে খরচ করে ইনকাম ট্যাক্স ছাড় দেয়। পুজোতে সেই ছাড় থাকবেনা কেন? পুজোতে চাঁদা নিয়ে করে। এতে লক্ষ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়৷ এগুলো ঠিক নয় এর দ্বারা পুজোকে অপমান করা হয়। আমার এই নিয়ে বিরোধিতা আছে।
এই পুজোয় সব ধর্মের মানুষ আছে৷ ইনকাম ট্যাক্স দপ্তর যেভাবে ডাকছে তাতে আমি মর্মাহত। এভাবে দেওয়াল দখল করা যায়, ইভিএম দখল করা যায়, মানুষের হৃদয় কি দখল করা যায়? বিজেপি আগে মানুষের মন দখল করুক৷ যদি ওরা কোনো জায়গায় নাম পরিবর্তন করে তাহলে সেটা আগে রাজ্য সরকারকে জানাক, তাদের কাছে ক্লিয়ার করুক। সরকার আর রাজনৈতিক দল আলাদা। দল আসবে যাবে কিন্তু গণতন্ত্র থেকে যাবে।
দেখুন তালিকা-
Be the first to comment