সংকট অব্যাহত কর্নাটকে ৷ সোমবার রাতে স্পিকার রমেশ কুমার জানিয়ে দিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আস্থাভোট। তিনি বলেন, রাত ১১টার দিকে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। শরীরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় কারও ৷ মনে করা হচ্ছে, আজই ঠিক হতে পারে জোট সরকারের ভবিষ্যৎ। উল্লেখ্য, সোমবার স্পিকার প্রথমে জানিয়েছিলেন, আস্থাভোটের জন্য রাত বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও তিনি রাজি। তবে কংগ্রেস ও JDS বিধায়করা দাবি করেন, আজ সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটক মামলার শুনানির পরেই ভোটাভুটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। পরে আস্থা ভোটের সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলান স্পিকার।
বিজেপির দাবি, সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে আস্থাভোটে দেরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী নিজেই ৷ কর্নাটকের বিদ্রোহী বিধায়কদের সমন পাঠিয়েছেন স্পিকার। ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অনুরোধ, এঁদের বহিষ্কার করা হোক। এদিকে কুমারস্বামী আবেদন জানিয়েছেন, বিদ্রোহী বিধায়করা ফিরে আসলে বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস করা সম্ভব হবে ৷
এদিকে, কংগ্রেস নেতা শিবকুমার তাঁর দলের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জোট সরকারকে সমর্থন না করলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হবে। তাতে বিদ্রোহীদেরই ক্ষতি হবে ৷ ২২৪ সদস্যের বিধানসভায় ১১৮ জন জোট সরকারের সদস্য। যদি ১৫ জন বিধায়ক যাঁরা পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের পদত্যাগপত্র যদি সুপ্রিম কোর্ট স্বীকার করে নেয় তাহলে সরকার এসে দাঁড়াবে ১০১ সদস্যতে। দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থন পেলে বিজেপি এসে দাঁড়াবে ১০৭ সদস্যে, যা সরকার গঠনের ন্যূনতম সংখ্যা ১০৫টি আসনের থেকে দুই বেশি। সবমিলিয়ে কর্ণাটকের ভাগ্য জানতে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে ৷
Be the first to comment