মেয়েটি বছর পঁচিশের, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। মায়ের কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে কয়েক মাস আগে। ডাক্তাররা জানায়, অবিলম্বে কিডনি প্রতিস্থাপন না করলে তাঁর মায়ের আয়ু আর এক বছরের বেশি নেই। তারপর থেকেই শুরু হয় কিডনির খোঁজ। কিন্তু কোথাও একই রক্তের গ্রুপের কিডনি না মেলায় সমস্যা বাড়তে থাকে। এদিকে হতাশ হয়ে পড়েন তরুণী ও তাঁর বাবা।
এ দিকে দীর্ঘ দিনের প্রেমিকের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের দিনধার্য করার দিন এগিয়ে আসতে থাকে। মায়ের মেয়ে ঐ তরুণী তখনই সিদ্ধান্ত নেনে, তিনিই নিজের কিডনি দিয়ে বাঁচাবেন মা’কে। তাঁর এই সিদ্ধান্তে বেঁকে বসেন তাঁর প্রেমিক। কারণ একটা কিডনি দান করা মানেই, শারীরিক ভাবে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়া। প্রেমিকের পরিবার না মানলে শেষমেশ এনগেজমেন্ট বাতিল করারই সিদ্ধান্ত নেন তরুণী।
হাসপাতালের নেফ্রোলজিস্ট ডঃ শঙ্করন সুন্দর বলেছেন, “অবিবাহিত মেয়েদের কিডনি নিতে আমরাই দু’বার ভাবি। কারণ তাঁদের বিয়ে, সন্তানধারণের বিষয়গুলো থাকে। কিন্তু, এই মেয়েটিকে আমরা মানা করতে পারিনি। তাঁর জেদ আমাদের সকলকে হারিয়ে দিয়েছে। নিজের স্বপ্নের থেকেও মায়ের জীবন তাঁর কাছে অনেক আগে ছিল। এই ভাবনা আজকালকার দিনে বিরল।” কিডনি প্রতিস্থাপন সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার শঙ্করন।
Be the first to comment