আনন্দ পুরস্কারের দশ লক্ষ টাকা শিক্ষায় দান করলেন সাহিত্যিক নলিনী বেরা

Spread the love

‘সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা’ ; ১৪২৫ সালের আনন্দ পুরস্কারে বিশেষভাবে সম্মানিত। এই পুরস্কারের দৌড়ে ছিল আরও দু’টি বই— সন্মাত্রানন্দের  ‘নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটা’ এবং ইতিহাসবিদ দীপেশ চক্রবর্তীর ‘মনোরথের ঠিকানা’।  চুলচেরা বিশ্লেষণ শেষে পাঁচ বিচারক অংশুমান কর, উমা দাশগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, বেগম আকতার কামাল এবং শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় নলিনীবাবুর সুবর্ণরেখাকেই জয়টিকা পরিয়েছেন। এই সুখবর পেয়েই লেখক বলেছিলেন, ‘আজ গ্রামের লোকেদের কথা খুব মনে পড়ছে। আমার লেখা সেখানকার মানুষজনকে নিয়েই।’

একজন সাহিত্যিকের কেবলই বইয়ের পাতায় থেমে থাকেনা। সমাজের বিভিন্ন পর্যায় বিভিন্ন ধারায় বারবার প্রতিনিধিত্ব করেছেন কবি সাহিত্যিকরা৷ এহেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক নলিনী বেরার কাছেও ঋণী রইল সমগ্র বাংলা।আনন্দ পুরস্কারের দশ লক্ষ টাকা দরিদ্র ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য দান করলেন সাহিত্যিক নলিনী বেরা। কবি নিজেই বড়ো হয়েছেন প্রত্যন্ত গ্রামে। আর্থিক অনটনের সম্মুখীন হয়েছেন বারবার। তাই সেই সমস্ত সাহিত্যসৃষ্টি করেই এবার আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। কেবল সাহিত্যসৃষ্টিই নয় এমন মহৎ কাজের জন্য দরকার হয় সৎ মানসিকতা ও বৃহৎ হৃদয়ের। বাংলার প্রতিটি স্তরের মানুষ এই খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

কবি নলিনী বেরাকে কুর্নিশ জানাই রোজদিনের পক্ষ থেকে….

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*