শনিবার জোড়া গোলে জয় দিয়েই ডুরান্ড অভিযান শুরু করল লাল-হলুদ। তবে পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাবে গোল পেতে এদিন ৮৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো আলেজান্দ্রোর ছেলেদের। অবশেষে হাইমে কোলাডোর বিশ্বমানের ফ্রি-কিক। আর তাতেই কাটলো সমর্থকদের উৎকণ্ঠা। বোনাস হিসেবে অতিরিক্ত সময় যোগ হল পরিবর্ত বিদ্যাসাগরের গোল। আর্মি রেডের বিরুদ্ধে এদিন দুই বিদেশি নিয়ে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। ডিফেন্সে বোরহা গোমেজের সঙ্গে আপফ্রন্টে জুড়ে দিয়েছিলেন হাইমে কোলাডোকে। ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে এদিন অভিষেক হল তরুণ অভিজিৎ সরকার ও বোইথাং হাওকিপের।
তবে এদিন শুরু থেকে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতেই রেখেছিলো আলেজান্দ্রোর ছেলেরা। কিন্তু ভাগ্য সহায় না হওয়ায় প্রথমার্ধে এদিন গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হয় তারা। ২৫ মিনিটে কোলাডোর কার্লিং ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে গোল করতে প্রয়াসী হলে হাওকিপের প্রচেষ্টা গোললাইন সেভ করেন বিপক্ষ ডিফেন্ডার। এরপর বক্সের মধ্যে হাওকিপের আরও একটি অনবদ্য প্রচেষ্টা ও গোলের মধ্যে ফের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থাতেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অভিজিতের পরিবর্ত হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে পিন্টু মাহাতা ও কাশিম আইদারাকে নামিয়ে দেন আলেজান্দ্রো। লাল-হলুদের খেলায় আরও ঝাঁঝ বাড়ে। এরপর ৭৯ মিনিটে হাওকিপের পরিবর্তে মাঠে বিদ্যাসাগরের আগমণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় ইস্টবেঙ্গলের জন্য। ৮২ মিনিটে বক্সের বাইরে এসে বিপক্ষ গোলরক্ষক বিদ্যাসাগরকে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখেন বিপক্ষ গোলরক্ষক মহম্মদ শানুস। নিউমেরিক্যাল সুপ্রিমে পিছিয়ে পড়ে আর্মি রেড। এরপর ৮৫ মিনিটে ফের ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। আর সেই ফ্রি-কিক থেকে বিশ্বমানের গোলে দলকে এগিয়ে দেন কোলাডো।
এরপর অতিরিক্ত সময় (৯১ মিনিট) সামাদ আলি মল্লিকের মাটি ঘেঁষা ক্রস থেকে বিপক্ষের কফিনে দ্বিতীয় ও শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন পরিবর্ত বিদ্যাসাগর। জোড়া গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল। আগামী ৬ অগাস্ট নিজেদের মাঠে গ্রুপের দ্বিতীয় খেলায় জামশেদপুর এফসি’র মুখোমুখি হবে লাল-হলুদ।
Be the first to comment