৩৭০ ধারার পাশাপাশি ৩৫A ধারাও জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্রীয় সরকার। আর এমন পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ৷ দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লা-সহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে ৷
জম্মু-কাশ্মীরের ৩৫A ধারাটি ঠিক কী?
১৯৫৪ সালে ৩৫A ধারা চালুর সাংবিধানিক নির্দেশ দেন তত্কালীন দেশের রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ ৷ নেহরু সরকারের পরামর্শেই ওই ধারা প্রযোজ্য হয় কাশ্মীরে ৷ জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনে পঞ্জাবিদের নিয়োগের তীব্র বিরোধিতা শুরু করেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ৷ এই কারণেই, ১৯২৭ সালে একটি আইন এনেছিলেন মহারাজা হরি সিং ৷ সেই আইনে কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দাদের কিছু নির্দিষ্ট সুবিধা দেওয়া হয় ৷ স্বাধীনতার পরে ১৯৫২ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরাল নেহরু ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা দিল্লি চুক্তি সই করেন ৷ দিল্লি চুক্তিতে জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের কিছু বিশেষ সুবিধায় সম্মতি জানানো হয় ৷
৩৫এ ধারায় কী বলা হচ্ছে?
এই ধারায় জম্মু-কাশ্মীর সরকার কোনও ব্যক্তিকে কাশ্মীরের স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার রাখে ৷ স্থায়ী নাগরিকরা কিছু বিশেষ পান ৷ কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই জম্মু-কাশ্মীরে জমি বা সম্পত্তি কেনা-বেচা, সরকারি চাকরি ও রাজ্যের স্কলারশিপ পাবেন ৷ রাজ্যের বাসিন্দা কোনও মহিলা রাজ্যের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। তাঁর উত্তরাধিকারীদেরও সম্পত্তির উপরে অধিকার থাকে না।
Be the first to comment