একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়াই রীতি। শতাব্দী প্রাচীন পাথর ছোড়া উৎসবে এবারেও কোনও ব্যতিক্রম হয়নি হিমাচল প্রদেশের চম্পাওয়াতে ৷ দেবীধুরা মন্দিরে বরাহি দেবীর এই উৎসবে পাথরের আঘাতে গুরুতর জখম কমপক্ষে ১২০ জন ৷ পাথর ছোড়া উৎসব (যা বাগওয়াল নামে পরিচিত) বহু পুরানো প্রথা। ভক্তেরা দু’দলে ভাগ হয়ে একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকবেন। উদ্দেশ্য কেউ একজন এই পাথরের ঘায়ে আহত হবেন ও তাঁর রক্তপাত হবে। সেই রক্ত দিয়েই তিলক এঁকে দেওয়া হবে দেবী মূর্তিতে। প্রায় ১০ থেকে ২০ মিনিট ধরে চলে এই পাথর ছোড়াছুড়ি। কারও জখম হওয়ার খবর মিললেই পাথর ছোড়ায় ইতি টানা হয় প্রধান পুরোহিতের নির্দেশে। ঢাক-ঢোল সমারোহে জখম ব্যক্তিকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে পুজো দেওয়া হয়।
বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি থেকে জানা যায় এখানে প্রথমে নাকি ছিল নরবলি ৷ পরবর্তীতে শোনা যায়, এই চার সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরকে পাথর ছুড়ে আঘাত করে রক্তপাত ঘটালে তবেই নাকি দেবতা তুষ্ট হন। এই রীতির জন্যে বেছে নেওয়া হয় রাখি বন্ধনের দিনটিকেই। যদিও উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের তরফে এই উৎসবে পাথর ছোড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল ৷ কিন্তু স্থানীয়রা ঢাল ব্যবহার করে এই উৎসবে অংশ নেন ৷ পাথর ছোড়াছুড়িও হয় ৷
চম্পাওয়াতের জেলাশাসক এসএন পাণ্ডে বলেন, কয়েক হাজার মানুষ এই উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন ৷ উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভগৎ সিং কোশিয়ারি ও বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার গোবিন্দ সিং কুঞ্জওয়াল ৷
Be the first to comment