চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জুনিয়র ডাক্তারকে চড় মারলো রোগীর পরিবার

Spread the love

নাবালকের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জুনিয়র ডাক্তারকে চড় মারার অভিযোগ। পাশাপাশি নার্সদের হেনস্থার অভিযোগও উঠে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় হাসপাতাল সুপার মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানার আইসি প্রদীপ দাঁয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। যার জেরে পরে মৃতের পরিবার, চিকিৎসক নরেশ বান্ডেলার পা ধরে ক্ষমা চায় এবং গাফিলতির অভিযোগ তুলে নেয়।

ভদ্রেশ্বর বিঘাটির বাসিন্দা শুভম পাসোয়ান (৭) বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিল। চিকিৎসা চলছিল চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে। শনিবার সকালে শুভমের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তখনই শুভমের চিকিৎসা শুরু করা হয়নি। সেখানে তাকে ফেলে রাখা হয়। নার্সদের একাধিকবার বললেও তাঁরা জানিয়েছিলেন, ডাক্তার এখন নেই পরে আসবে। শুভম ইমারজেন্সি রোগী, এই বলেও কিছু হয়নি। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ শুভমের মৃত্যু হয়। তারপরই উত্তেজিত হয়ে পরিবারের লোকজন চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলে, বেধড়ক মারধর করে। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

চিকিৎসককে মারধরের কথা স্বীকার করেন মৃতের আত্মীয় সুভাষ পাসোয়ান । সাফাই দেন, হাসপাতালে এসেই শুভমের মৃত্যু হয়েছে শুনে মাথার ঠিক ছিল না । বলেন, আমি রাতে থাকার জন্য এসেছিলাম হাসপাতালে । কিন্তু এসে দেখি আমাদের বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে । মাথা ঠিক রাখতে না পেরে ডাক্তারকে মারধর করি । তাই পা ধরে ক্ষমা চেয়েছি । আমার ভুল হয়েছে, আমি স্বীকার করছি । চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নেওয়ার পর দেহটি ময়নাতদন্ত না করেই ছেড়ে দেওয়া হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*