বনগাঁ পৌরসভায় আস্থা ভোটের নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট

Spread the love

বনগাঁ পৌরসভায় ফের আস্থা ভোটের নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সোমবার এমনই নির্দেশ দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ তাঁর নির্দেশ, অর্ডার পাওয়ার ১২ দিনের মধ্যে নতুন করে আস্থা ভোট করাতে হবে ৷ আস্থা ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশকে সবরকম ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ যতদিন পর্যন্ত এই ভোট প্রক্রিয়া শেষ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত SDO বা সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক আধিকারিককে পৌরসভার দায়িত্ব সামলাতে হবে ৷ হাইকোর্টের এই রায়কে নিজেদের জয় হিসেবে দেখছেন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা কাউন্সিলররা।

উল্লেখ্য, মাসদুয়েক আগে বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থার আবেদন জানিয়েছিলেন ১৪ জন কাউন্সিলর। মহকুমা শাসকের কাছে তাঁরা আবেদন করেছিলেন। স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে পদক্ষেপ না করায় তৈরি হয়েছিল অচলাবস্থা। শেষে ওই ১৪ জন কাউন্সিলরদের মধ্যে ১২ জন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপরই অনাস্থা ভোট চেয়ে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করা হয়। অবশ্য অনাস্থা ভোটের আগেই একজন কাউন্সিলর তৃণমূলে ফিরে আসেন।

বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন ৩ জন কাউন্সিলর। হাইকোর্ট ১১ জুলাই নির্দেশ দেয় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আস্থা ভোট প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় ১৬ জুলাই ভোট হবে। ১৬ জুলাই ব্যাপক হট্টগোলের মাঝে বিজেপি ও তৃণমূল দুই পক্ষই দাবি করে যে আস্থা ভোটে তারা জিতেছে । এরপর আস্থা ভোটের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা শুরু হয়। এই মামলা চলাকালীন ফের শাসকদলে ফিরে যান বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনগাঁ পৌরসভার চার সদস্য। ফলে ২২ সদস্যের বনগাঁ পৌরসভায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা হয় ১৩ ৷ অঙ্কের হিসেবে রাজ্যের শাসকদলই বনগাঁ পৌরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন দখলে রেখেছে ৷ ১৬ জুলাই ঝামেলার পর দু’পক্ষ আলাদা আলাদা করে দুটি রেজুলেশন করে । ভোটদান নিয়ম মেনে হয়নি বলে ১৭ জুলাই হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারী দিপ্তেন্দু বিকাশ বৈরাগীসহ অন্য কাউন্সিলররা। ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয় মামলার শুনানি ৷

১৬ জুলাইয়ের ঝামেলার বিষয়টি মাথায় রেখে আজ নির্দেশ দেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় ৷ তাঁর নির্দেশ, অর্ডার পাওয়ার ১২ দিনের মধ্যে জেলা শাসকের দফতরে আস্থা ভোট করাতে হবে ৷ SP-র তত্ত্বাবধানে ভোট হবে ৷ যতদিন পর্যন্ত না আস্থাভোট পর্ব মিটছে ততদিন SDO বা পৌরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার প্রতিদিনের কাজকর্ম সামলাবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*