ব্যবসায়ীর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত ছিল ৷ সম্পর্কও ছিল ভালো ৷ সেই ভালো সম্পর্কের ফায়দা তুলে ডাকাতির ছক কষলো এক যুবতি ৷ প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে সে এই পরিকল্পনা করেছিলো ৷ কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশি ডাকাত রেজাউলকে ৷ কিন্তু আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়লো রেজাউল-সহ পাঁচ ডাকাত ৷ এবার এই ঘটনার মূল চক্রী দীপা মজুমদারকে (২২) গ্রেফতার করলো পুলিশ ৷ যদিও ঘটনার পর থেকে তার প্রেমিক পলাতক ৷ নরেন্দ্রপুরের নেতাজিনগর এলাকার ঘটনা ৷
জানা গিয়েছে, ১৮ অগাস্ট গভীর রাতে অরূপ দত্ত নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে যায় একটি ডাকাত দল ৷ এই দলে প্রায় ১১ জন ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ তাদের মধ্যে ৬ দুষ্কৃতী অরূপের বাড়িতে হানা দেয় ৷ তিনজন গাড়িতে ডাকাতি সম্পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষা করছিল ৷ দু’জনকে পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ৷ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেওয়া ছ’জনের মধ্যে তিনজন পুলিশের উর্দি পরেছিল বলে দাবি পরিবারের ৷ বাকি তিনজন ছিল সাধারণ পোশাকে ৷ অরূপের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে নগদ ৭০ হাজার টাকা, সোনা ও রুপোর গয়না লুট করে তারা ৷ ততক্ষণে স্থানীয়রা বিষয়টি আঁচ করে চিৎকার শুরু করেন ৷ এরপর শূন্যে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা ৷ স্থানীয়রা তাদের মধ্যে একজনকে ধরে ফেলে ৷ তাকে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷
পরে রেজাউল শেখ, মামন শেখ, সবুজ শেখ ও দীপু শর্মা নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ ধৃতদের মধ্যে প্রথম তিনজন বাংলাদেশের যোগেশগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ৷ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার মূল চক্রী দীপা মজুমদারের খোঁজ পায় পুলিশ ৷ জানা গেছে, ব্যবসায়ী অরূপ দত্তের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল দীপার ৷ অরূপের মা মায়া দত্তকে সে জেঠিমা বলে ডাকতো ৷ মায়াও ছিল দীপা অন্তপ্রাণ ৷ বিয়ে বাড়িতে যাবে বলে জেঠিমার থেকে সোনার গয়নাও নিয়ে যায় দীপা ৷ সেই বিয়ে বাড়িতেই দীপার প্রেমিকের সঙ্গে সেই গয়না নিয়ে কথা হয় ৷ তারা অরূপের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে ৷ দীপার প্রেমিক বাংলাদেশের ডাকাত রেজাউলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৷ ডাকাতির আগে অরূপের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানেও যায় তারা ৷ গোটা এলাকা ভালো করে রেইকি করে ৷ এরপর পরিকল্পনা মতো নির্দিষ্ট দিনে ডাকাতি করতে যায় রেজাউল সহ ৬ জন ৷ এই ঘটনার মূল চক্রী দীপাকে গ্রেফতার করলো পুলিশ ৷
Be the first to comment