লেকটাউনে তাঁর চা-চক্রে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ নাম না করে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারিও দেন ৷ বলেন, সিবিআই ওদের প্রতি সক্রিয় হয়েছে বলে আমাদের কর্মীদের মারবে? জোর করে আটকে রাখবে? তা হলে ওরা ভুল করছে। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি কারও হাতে থাকবে না ৷
দিলীপবাবু আরও বলেন, সকালে প্রতিদিনই আমরা মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে চা খাই। আমি লেকটাউনে গিয়েছিলাম। তাই ওখানে দলের স্থানীয় কর্মীরা প্রচার করেছেন দিলীপ ঘোষ আসবেন চা- চক্রে। তাতেই তৃণমূল কর্মীরা ভয়ে বিজেপির ব্যানার ছিড়ে দিয়েছে। শুক্রবার সকালে ঠিক কী হয়েছিল? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি নির্দিষ্ট সময়েই সেখানে যাই। রাস্তার মোড়ে বসেছিলাম ৷ সেই সময় আমাদের উপর হামলা করল। গো-ব্যাক স্লোগান দিল। পুলিশ থাকা সত্ত্বেও হামলা চলে ৷ যেখানে বসেছিলাম সেখানে আমাদের চেয়ার-টেবিল ভেঙে দেওয়া হয়। পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করেছে ৷ কারা হামলা চালালো হঠাৎ করে? দিলীপবাবু বলেন, বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসা হয়েছিল হামলা করতে। ওখানকার বাসিন্দারা বলছেন এরা স্থানীয় লোক নয়। ঝগড়া, মারপিট করার জন্য এখানে লোক নিয়ে আসা হয়েছে।
এরপর দিলীপবাবুকে এলাকা ছাড়তে বলে পুলিশ ৷ বলা হয়, রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে। আপনি এলাকা ছাড়ুন ৷ হামলার ঘটনায় বিজেপির প্রায় ২৬ জন কার্যকর্তা আহত হয়েছেন। তাঁদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। এরপরই ক্ষোভ উগরে দিয়ে দিলীপবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যদি এই পরিস্থিতি হয়, যে শান্তিতে কোথাও চা খেতে পারব না, কোথাও ঘোরাঘুরি করত পারব না, যদি রাজ্যে এই পরিস্থিতি হয় তা হলে মানুষ কী নিয়ে বেঁচে থাকবে? বিজেপিতে যোগ দেওয়া বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে মারধর করা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি ৷ বলেন, রোজ কোথাও না কোথাও আক্রমণ করা হচ্ছে ৷
Be the first to comment