শনিবারই অসমে প্রকাশ করা হয়েছে চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখএরও বেশি মানুষের নাম। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস সহ সমস্ত রাজনৈতিক দল। সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ও। শনিবার রাতেই তিনি এনআরসি নিয়ে টুইট করেন। টুইটে তালিকা থেকে বাদ পড়া বাঙালিদের স্বার্থে তিনি সরব হন। আর রবিবার সকালে ফের তিনি এই বিষয়ে টুইট করেন। এদিন টুইটে তালিকা থেকে বাদ পড়া গোর্খাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা।
নাগরিকপঞ্জি থেকে প্রায় ১ লাখ গোর্খার নাম বাদ পড়েছে। উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনা বাহিনীতে গোর্খা রেজিমেন্টের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এই রেজিমেন্টে প্রচুর গোর্খা বংশানুক্রমে কর্মরত যাঁদের একটা বড় অংশ পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসমেও থাকেন। মমতা টুইট করেন, যে গোর্খাদের নাম বাদ পড়েছে তাদের পাশে রয়েছি । সরকারকে কড়া হাতে এই পরিস্থিতি সামলাতে বলে মমতা লেখেন, অনেক প্রকৃত ভারতবাসী নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ পড়েছেন। দেশের জন্য বলিদান দেওয়া সেনা ও CRPF জওয়ানদের পরিবার বাদ পড়েছে এই তালিকা থেকে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলির পরিবারও বাদ পড়েছে । সরকারের উচিত এই ভারতীয়দের প্রতি সুবিচার করা এবং সুনিশ্চিত করা যাতে কোনও ভারতীয় এই তালিকা থেকে বাদ না পড়ে ।
পাশাপাশি এনআরসি-কে “চরম ব্যর্থ” আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, যারা এনআরসি থেকে রাজনৈতিক লাভ পেতে চেয়েছিল, এনআরসি-এর চরম ব্যর্থতা তাঁদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। দেশবাসীকে তাঁদের অনেক কিছু নিয়ে জবাব দিতে হবে। এনআরসি দেশ ও সমাজের ভালোর জন্য নয়, বরং অন্য কোনও অভিসন্ধির কারণে করা হয়েছে ।
Be the first to comment