রাজীব কুমারের গ্রেফতারির উপর ফের স্থগিতাদেশ বিচারপতি মধুমতী মিত্রের। মঙ্গলবার হবে হবে শুনানি। আর তা নিয়েই মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী ওয়াই জেড দস্তুর। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে যখনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে, তখনই তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দিয়েছেন। এমনটাই দাবি আইনজীবী দস্তুরের। তিনি বলেন, প্রথমবার ২০১৭ সালে যখন রাজীব কুমারকে সমন পাঠানো হয়েছিল, তিনি এক মাস সময় চেয়ে নেন। কারণ হিসেবে তিনি দুর্গাপুজো ও ছটপুজো সংক্রান্ত ব্যস্ততা দেখান।
আইনজীবী দস্তুর আরও বলেন, গত মাসে রাজীব কুমারকে যখন রোজভ্যালি চিটফান্ড সংক্রান্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলো, তিনি অজুহাত দিলেন যে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর তার ফলে নাকি দেশের আইন-শৃঙ্খলার উপর প্রভাব পড়তে পারে। এই কারণে তিনি ফের ১ মাস সময় চেয়ে নিলেন। দস্তুর জানান, রাজীব কুমারের আইনজীবী মিলন মুখার্জি বারবার বলার চেষ্টা করেছেন যে তিনি একজন সাক্ষী। তাঁকে দোষীসাব্যস্ত করার চেষ্টা করছে সিবিআই। এ প্রসঙ্গে সিবিআই-এর আইনজীবীর বক্তব্য, কাকে একজন সাক্ষী বলা হয়? যে কিছু দেখেছে, কিছু শুনেছে বা জানে। অথচ রাজীব কুমারের কাছে সিবিআই যখনই কিছু জানতে চেয়েছে তার উত্তরে তিনি বলেছেন আমি কিছু জানি না। কিছু দেখিনি এবং কিছু শুনিনি।
ওয়াই জেড দস্তুরের দাবি, বারবার রাজীব কুমারের আইনজীবী বলেছেন, ১৫০ জন তদন্তকারী অফিসারদের মধ্যে বেছে বেছে রাজীব কুমারকেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকছে। কিন্তু একথা সঠিক নয়। একাধিক পুলিশ আধিকারিককে ডাকা হয়েছে। ADG, সাব ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে CP-কে পর্যন্ত ডাকা হয়েছে।
দস্তুরের অভিযোগ, রাজীব কুমারকে যখন সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হল, তখন তিনি না এসে আলিপুর CJM-এর কাছে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন। আইনজীবী বলেন, রাজীব কুমার SIT-এর দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর কাছে সিবিআই যখন নথি চাইলো তিনি আট ট্রাঙ্ক কাগজপত্র পাঠালেন।
প্রসঙ্গত, রাজীব কুমারের মতো আরও একজন পুলিশ অফিসার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিবিআই তাঁকে হেনস্থা করছে বলে কিন্তু তিনি সিবিআই-এর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। দস্তুরের প্রশ্ন, রাজীব কুমারের মতো একজন সম্মানীয় পুলিশ অফিসার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেন? নিশ্চয় কোনও সমস্যা রয়েছে।
Be the first to comment