শোনা যাচ্ছিলো তাঁরা দল ছাড়বেন। ঘনিষ্ঠ মহলে বিজেপি থেকে নিষ্কৃতি চাওয়ার কথাও বলেন। জল্পনা উঠছিল, তবে কি যোগদানের একমাসের মধ্যেই দল ছাড়বেন শোভন-বৈশাখি? এই অবস্থায় ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন মুকুল রায়। দিল্লিতে সোমবার শোভন ও বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠক শেষ তিনি বলেন, শোভন, বৈশাখী দল ছাড়ছে, এসব বাজে কথা। ওরা বিজেপিতে ছিলো। বিজেপিতেই আছে।
উল্লেখ্য, ১৪ অগাস্ট দিল্লিতে বিজেপি-এর কার্যালয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিনই বিজেপি-এর সদর দফতরে গিয়েছিলেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। জল্পনা ছড়ায় তিনি নাকি বিজেপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু, দেবশ্রীর দলবদলে নাকি বাধা হয়ে দাঁড়ান শোভন-বৈশাখী। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৯ অগাস্ট) রাতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র আবাসনে একটি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন ও জয়প্রকাশ মজুমদার। বৈঠকে দু-এক কথাও শোনান কৈলাস।
সূত্রের খবর, তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যে ছিলেন বৈশাখী। কৈলাস মনে করেন, দেবশ্রীকে দলে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন বৈশাখী। সেই বাধা আর মানা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।এরপরই ঘনিষ্ঠ মহলে বিজেপি থেকে নিষ্কৃতি চাওয়ার কথা বলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বিজেপি-এর সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে এবিষয়ে বৈঠকও করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ মিটিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এবিষয়ে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথাও বলেন নাড্ডা।
এরপরই সোমবার দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাড়িতে আসেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকঘণ্টা বৈঠকও করেন তাঁরা। বৈঠক শেষ শোভন-বৈশাখীর দলছাড়ার জল্পনা উড়িয়ে দেন মুকুল রায়। বলেন, শোভন, বৈশাখী দল ছাড়ছে, এসব বাজে কথা। ওরা বিজেপিতে ছিলো বিজেপিতেই আছে। আমাদের মধ্যে আজ বহু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীদিন কী হবে, সেটা ভবিষ্যৎ বলবে।
Be the first to comment