বহরমপুরে গণপিটুনিতে মৃত্যু হলো এক যুবকের

Spread the love

গণপিটুনি রুখতে বিল পাশ করেছে রাজ্য সরকার ৷ কিন্তু, সাধারণ মানুষ যে সচেতন হয়নি, ফের তার প্রমাণ পাওয়া গেলো বহরমপুরে ৷ গণপিটুনিতে মৃত্যু হল এক যুবকের ৷ মৃতের নাম খাবির শেখ (২৩) ৷ জানা গিয়েছে, গণপ্রহারের পর কাতরালেও কেউ এগিয়ে আসেনি তাঁর মুখে একফোঁটা জল দিতে। এক মহিলা এগিয়ে এলে তাঁকেও অপমানিত হতে হয়। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পড়ে থাকার পর মৃতদেহ তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কেন ওই যুবককে হাত পা বেঁধে পিটিয়ে মারা হলো তা খতিয়ে দেখছে বহরমপুর থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, খাবিরের বাড়ি বহরমপুর থানার সাহাজাদপুর ফুলিয়া পাড়ায়। কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকতেন তিনি। সম্প্রতি তিনি বাড়ি ফিরে রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দিয়েছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে বহরমপুর লালদিঘিপাড় সংলগ্ন একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে আচমকা ঢুকে পড়েন তিনি। সেখানে ঢুকেই ভাঙচুর শুরু করেন বলে অভিযোগ। এরপর ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মীরা তাঁর হাত পা বেঁধে মারধর শুরু করে।

গণপ্রহারে ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর আগে কাতরালেও কেউ জল দিতে এগিয়ে আসেনি। এমন কী প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানেই পড়ে থাকে দেহ। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ দেহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা খাবিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।

উল্লেখ্য, গণপিটুনি রুখতে ৩০ অগাস্ট বিধানসভায় পাশ হয়েছে দা ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল ২০১৯ বা গণপ্রহার রোধ বিল। বিল পাশ হলেও এখনও আইনটি চালু হয়নি। এই বিল অনুযায়ী, গণপ্রহারে কারও মৃত্যু হলে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা হবে। গণপ্রহারে কেউ জখম হলে দোষীর সর্বোচ্চ তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে । কিন্তু বিল পাশ হওয়ার পরও এবিষয়ে যে জনমানসে এখনও সেভাবে সচেতনতা গড়ে ওঠেনি, বহরমপুরের ঘটনা তার প্রমাণ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*