যৌন হেনস্থার অভিযোগে সুরজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করলো গোয়া পুলিশ ৷ এদিকে সুরজিৎ পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ তার খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷ উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকেই সুরজিতের কাছে সাঁতার শিখছিলো জাতীয়স্তরের এক সাঁতারু ৷ কোচের ডাকেই বছর দুয়েক আগে পরিবারের সঙ্গে গোয়া যায় হুগলির রিষড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরী ৷ অভিযোগ, মাসছয়েক ধরে তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করছিলো সুরজিৎ ৷ কিন্তু, ভয়ে কাউকে বিষয়টি জানায়নি মেয়েটি ৷ পরে বাধ্য হয়ে গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রাখে মেয়েটি ৷
সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে সেই ভিডিয়ো ৷ তা ভাইরাল হয়। এরপর সাঁতার সার্কিটে যথেষ্ট সুনাম থাকা কোচের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু ৷ তিনি টুইট করেন, স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়াকে আমি এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছি। অভিযুক্ত কোচ যা করেছেন, তা ঘৃণ্য অপরাধ। আমি পুলিশকেও শীঘ্রই এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলছি। অভিযুক্ত কোচ যাতে দেশের আর কোথাও চাকরি না পান, তা দেখবেন বলেও জানান কিরেন রিজিজু। মন্ত্রী লেখেন, আমি পুরো ঘটনাটি নজরে রেখেছি। গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের সঙ্গে চুক্তি রদ করেছে। আমি দেশের বাকি সাঁতার সংগঠনগুলিকেও বলেছি যাতে তারা অভিযুক্তকে কোচ হিসাবে না নেয়।
এদিন মন্ত্রীর টুইটের পরই সুরজিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (শিক্ষক হিসেবে ধর্ষণ), ৩৫৪ (মহিলাদের শালীনতা ও সম্মানের উপর আঘাত) ও ৫০৬ ধারায় (ভয় দেখানো) মামলা রুজু করে পুলিশ ৷ পুলিশ জানিয়েছে, মামলা রুজু হয়েছে ৷ অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা দুজনেই পশ্চিমবঙ্গের ৷ অভিযুক্ত পলাতক ৷
Be the first to comment