ইতিহাস তৈরি থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরেই থমকে গেল ISRO । চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখনও পর্যন্ত কোনও দেশের পা পড়েনি। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ইতিহাস তৈরি করতো ভারতই। তবে অপেক্ষা আরও একটি প্রচেষ্টার। শেষ মুহূর্তে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উৎসবের আবহওয়া পরিণত হয় উৎকণ্ঠায়। তবে কি ব্যর্থ হয়েছে চন্দ্রযান-২ অভিযান? ISRO-এর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ল্যান্ডার ব্যর্থ হলেও চন্দ্রযান-২ এর অর্বিটার ক্রমাগত চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং বিজ্ঞানীদের দাবি ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণ না হওয়ায় পুরো অভিযানের মাত্র ৫ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ল্যান্ডার বিক্রম থেকে বেরিয়ে আসার কথা ছিল রভার প্রজ্ঞানের। পরবর্তী ১৪ দিন পর্যন্ত সেই প্রজ্ঞানের সাহায্যে চাঁদের দক্ষিণমেরুর বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য খোঁজ করার কথা ছিল ISRO-এর। প্রজ্ঞান চাঁদের মাটিতে পা রাখেনি। তবে চাঁদের থেকে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে তা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। চন্দ্রযান-২ এর অর্বিটার স্বাভাবিক ভাবে কাজ করায় আগামী এক বছর ISRO-এর বিজ্ঞানীরা চাঁদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে ও ছবি পেতে সক্ষম হবেন। অর্বিটারের হাই রেজলিউশন ক্যামেরার উপরেই এখন চন্দ্রযান-২ অভিযানের ৯৫ শতাংশ সাফল্য নির্ভর করছে।
ভারতীয় সময় রাত ১.৫৫ মিনিটে চাঁদে অবতরণের কথা ছিল ল্যান্ডার বিক্রমের। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল কিন্তু, আতঙ্কের ১৫ মিনিটই যেন কাল হলো। বিক্রম ল্যান্ডার তখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে। বেঙ্গালুরুর ISTRAC-এর কন্ট্রোল রুমের স্ক্রিনে দেখা যায় নির্দিষ্ট পথ থেকে কিছুটা সরে গেছে বিক্রম। এরপর কনট্রোল রুমের সঙ্গে সংকেত ছিন্ন হয়। তবে ISRO-এর বিজ্ঞানীদের এই বক্তব্যে বোঝা গেল, ধাক্কা খেলেও চন্দ্রযান অভিযান বিফল নয়।
Be the first to comment