আশঙ্কা করা হয়েছিলো। আর বাস্তবে সেটাই হলো। চিংড়িঘাটা উড়ালপুল বন্ধ রাখার ফলে বাইপাসের বড় অংশ জুড়ে তৈরি হচ্ছে যানজট। এমনকি রবিবার ছুটির দিনেও তা থেকে নিস্তার পাওয়া যায়নি। সেই সূত্রে কলকাতা পুলিশের তরফে চিঠি লেখা হলো কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ (KMDA)-কে। চিঠিতে সোমবার সকাল আটটার মধ্যে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শেষ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সপ্তাহের শুরুর দিনে অফিস টাইমের আগেই চিংড়িঘাটা উড়ালপুল খুলে দিতে চাইছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে পাওয়া গেছে এমনই খবর।
পুরোনো না হলেও এই চিংড়িঘাটা উড়ালপুলে কিছুদিন আগেই দেখা গেছে ফাটল। সেসময় অবশ্য মেরামতির কাজ করা হয়েছিল কিছুটা। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। KMDA-এর বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট দেয়, উড়ালপুলের অবস্থা ভালো নয়। আর তাই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুদিন আগেই জারি করা হয় একটি বিজ্ঞপ্তি। তাতে বলা হয় ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে এই উড়ালপুল দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। বেশি গতিতে যান চলাচল করলে সেতুর কম্পন বেশি হয়। তা থেকে বাড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। পাশাপাশি ভারী যান চলাচলের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে সেতুতে।
সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৬ সেপ্টেম্বর রাত ন’টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় চিংড়িঘাটা উড়ালপুল। কথা ছিল আগামীকাল রাত আটটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই উড়ালপুল। সেই মর্মে জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। জানানো হয়েছিল এই সময় নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাইপাসে যানচলাচল। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের জেরে বাইপাসের বড় অংশে তৈরি হয়েছে যানজট। এমনিতে কম সময়ে এয়ারপোর্ট যাবার জন্য দক্ষিণ কলকাতার মানুষ এই উড়ালপুল ব্যবহার করেন।
তাছাড়া সল্টলেকের সরকারি দফতর, সেক্টর ফাইভ কিংবা নিউটাউন IT পার্কের কর্মীরাও এই উড়ালপুল ব্যবহার করেন নিত্যদিন। শনিবার সন্ধ্যায় কিংবা রবিবার সকালে যেভাবে যানজট হয়েছে, তাতে আগামীকাল অর্থাৎ সপ্তাহের কাজের শুরুর দিনে বাইপাস স্তব্ধ হয়ে যাবার আশংকা করছে পুলিশ। তাই KMDA-কে লেখা হয়েছে চিঠি।
Be the first to comment