সরশুনা আর্থিক প্রতারণার মামলায় মকুল রায়কে তলব করলো কলকাতা পুলিশ ৷ সোমবার বিকেলের মধ্যে তাঁকে বেহালায় অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফিসে দেখা করার জন্য বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, সরশুনার বাসিন্দা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় জানুয়ারিতে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১৫ সালে নিজাম প্যালেসে বাবান ঘোষ নামে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের এক নেতার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। পরবর্তীকালে তাঁকে রেলের স্থায়ী একটি কমিটিতে স্থায়ী সদস্যপদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বাবান। সেই সূত্রে বাবানকে দফায় দফায় তিনি ৭০ লাখ টাকা দিয়েছেন। এই টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বারবারই বলা হয়েছে মুকুল রায়ের নাম।
পাশাপাশি, দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর আত্মসহায়ক বলে একজনের পরিচয়ও করানো হয়। সেখানেই মুকুলের সঙ্গেও আলাপ করান বাবান। তাঁকে দেওয়া হয় রেলমন্ত্রীর সই করা কিছু কাগজ। ওই মামলার FIR-এ মুকুল রায় ছাড়াও নাম রয়েছে বাবান ঘোষ, রাহুল সাউ এবং সাদ্দাম আনসারির।
কিছুদিন আগে পুলিশ বাবানকে গ্রেফতার করে। তারপর গ্রেফতার করা হয় সাদ্দামকে। তাঁকে বাবুঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরই মাঝে সরশুনা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন মুকুল ৷ ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট ৷ তবে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে মুকুল রায়কে ৷
Be the first to comment