দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ। বুধবার গভীর রাতে এমনই জানিয়েছেন নার্সরা। SSKM হাসপাতালের স্কুল অফ নার্সিংয়ের সামনে বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এই অবস্থান-বিক্ষোভ। উল্লেখ্য, বহু বছর ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার হয়ে চলেছেন এ রাজ্যের সরকারি নার্সরা। বৈষম্যের এই বঞ্চনা দূর করার দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করে ‘নার্সেস ইউনিটি’। বেতন বৈষম্যের বিষয়টি দূর করার দাবিতে গত মাসে একটি মিছিলেরও আয়োজন করেছিল নার্সদের এই সংগঠন। NRS, মেডিকেল কলেজ থেকে এই মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল। মিছিল শেষে এই সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে স্মারকলিপি পেশ করার কথা ছিল। অভিযোগ ওঠে, এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। যে কারণে মিছিল হয়নি।
এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে সেদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত NRS-এর জরুরিবিভাগের কাছে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন এই সংগঠনের সদস্যরা। অবশেষে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে স্মারকলিপি পেশ করার জন্য ‘নার্সেস ইউনিটি’র কয়েকজন প্রতিনিধিকে ওই দিন নবান্নে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। তখনই ‘নার্সেস ইউনিটি’র তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবি নিয়ে প্রশাসন কথা না বললে কর্মবিরতির পথে যাওয়া হবে। প্রথমে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি। তার পরেও দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলন ৷
কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো ওই স্মারকলিপির কোনও উত্তর তাঁরা পাননি। এ কথা জানিয়ে নার্সেস ইউনিটের সহ সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে আবার আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। ওই দিন স্বাস্থ্য ভবনেও আমরা চিঠি দিয়েছি। জানিয়েছিলাম, বেতন বৈষম্যের সমাধানের জন্য প্রশাসন যদি সাত দিনের মধ্যে কথা না বলে, তা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব। গত সোমবার সময়সীমা শেষ হয়েছে। এখনও কোনও উত্তর আসেনি। এই জন্য বুধবার সকাল থেকে রোগী পরিষেবা অব্যাহত রেখে এই অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে তিনি বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান-বিক্ষোভ চলবে ।
‘নার্সেস ইউনিটি’র সহ সম্পাদক বলেন, বহু বছর ধরে বেতন বঞ্চনার শিকার আমরা। আগের সরকারের আমল থেকে এই বঞ্চনা চলছে। ডিপ্লোমা এবং ডিগ্রি, যাকে যে পদে নেওয়া হচ্ছে, সেই পদের জন্য উপযুক্ত বেতন কাঠামো চালু করতে হবে। আমাদের এই আন্দোলন বেতন বৃদ্ধির জন্য নয়। এটা বেতন বঞ্চনার বিরুদ্ধে। তিনি আরও জানান, বেতন বৈষম্য দূর করার দাবি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চললেও, অন্য একটি বিষয় মুখ্য হয়ে উঠেছে৷ কোন বিষয়? তিনি বলেন, “গত ২৬ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবনে পুলিশের কাছে নার্সরা আক্রান্ত হয়েছেন। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি চাইছি।
Be the first to comment