মৌসুমী রায় সরকার (বিভাগীয় প্রধান)
“ইলশেগুঁড়ি ইলশেগুঁড়ি ইলিশ মাছের ডিম
ইলশেগুঁড়ি ইলশেগুঁড়ি দিনের বেলায় হিম।”
ভরা শ্রাবণে অঝোরে বৃষ্টি তো দূর অস্ত, ছিটেফোঁটা বৃষ্টিরও দেখা মিলছে খুব কম। দক্ষিনবঙ্গে আষাঢ়ও কেটেছে প্রায় বৃষ্টিবিহীন ভাবে। যেমন নেই ভরা বর্ষা তেমনই যেন আকাল পড়েছে ইলিশ মাছের। বাজার ঘুরে মিলছে না তেমন মনের মতো ইলিশ। তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতোই এবার ঝেঁপে এসেছে বৃষ্টি। আপাতত ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতেই সন্তুষ্ট বাঙালী। যা ছোটোখাটো ইলিশ বাজারে আসছে তাই ঘরে আনতে কড়কড়ে নোট গুনে দিচ্ছেন বিক্রেতাকে। আর হবে নাই বা কেন? বাঙালীর বর্ষা মানেই যে ইলিশ।
এতদিন পর্যন্ত এই বিভাগে নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হতেন কেবল মাত্র বিভাগীয় প্রধান মৌসুমী রায় সরকার। এবার থেকে ‘মৌসুমীর রান্নাঘরে’ বিভিন্ন ধরণের ইলিশ-এর রেসিপি নিয়ে থাকবেন আমাদের রন্ধন শিল্পী বন্ধুরাও। আজকের অতিথি শ্রীপর্ণা দে। রেসিপি পড়ুন, আর জমিয়ে রান্না করুন “নারকেলী মালাই ইলিশ”। সেই সঙ্গে জানান আপনাদের মূল্যবান মতামত।
শ্রীপর্ণা দে
আজকের রেসিপি- “নারকেলী মালাই ইলিশ”
উপকরণঃ ইলিশ মাছ ২ পিস, নারকেল বাটা ২ টেবিল চামচ, নারকেলের দুধ ১ বাটি (ঘন), সর্ষের তেল ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ টেবিল চামচ, নুন স্বাদ মতো, মাখন ১ টেবিল চামচ, শুকনো লঙ্কা ১টা, চিনি ১ চা চামচ।
প্রণালীঃ প্রথমে মাছগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এবার মাছগুলোতে নুন আর হলুদ গুঁড়ো মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে মাছগুলো হাল্কা করে ভেজে তুলে নিতে হবে। তারপর ওই তেলে মাখন দিতে হবে। মাখন গ্লে গেলে শুকনো লঙ্কা দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। ভাজা হয়ে এলে শুকনো লঙ্কা আলাদা একটা পাত্রে তুলে রাখতে হবে।
এবার ওই ভাজা তেলে নারকেল বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। কিছুক্ষন বাদে নুন ও চিনি ভালো করে মেশাতে হবে। তারপর চিনিটা গলে গেলে নারকেলের দুধটা দিয়ে দিতে হবে। এবার ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে দিন। ঘন হয়ে এলে নামানোর আগে উপর থেকে সর্ষের তেল ছড়িয়ে এবং ভেজে রাখা শুকনো লঙ্কাগুলো দিয়ে দিন। তারপর গরম ভাতের সঙ্গে চটপট পরিবেশন করুন সুস্বাদু “নারকেলী মালাই ইলিশ”।
Be the first to comment