নবান্ন অভিযানে বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের উপর পুলিশি ‘আক্রমণের’ নিন্দা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ৷ রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি ৷ কম খরচে পড়াশোনা, কর্মসংস্থান, সবার জন্য কাজ, বেকার ভাতার দাবিতে সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় SFI ও DYFI ৷ শুক্রবার হাওড়া থেকে অভিযান শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি ৷ মল্লিক ফটকের কাছে মিছিল আটকায় পুলিশ ৷ মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা ৷ চালানো হয় জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ৷ লাঠিচার্জ করা হয় ৷ জখম হন একাধিক বামকর্মী সহ পুলিশ ৷ ঘটনার পর জখম কর্মীদের দেখতে হাওড়া হাসপাতালে যান বিমান বসু ৷
পরে একটি বিবৃতি জারি করে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির রাজ্য সরকারকে দায়ি করেন তিনি ৷ ছাত্র-যুবদের লাঠিচার্জ-কাঁদানের গ্যাসের মুখে পড়তে হওয়ায় পুলিশের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান ৷ বিবৃতিতে বলা হয়, “পুলিশ মিছিলকারীদের উপর নৃশংসভাবে হামলা চালিয়েছে । কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছাড়াও ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ ৷ তার জেরে বামপন্থী ছাত্র ও যুব নেতৃবৃন্দ সহ বহু ছাত্র-যুব জখম হয়েছেন । পুলিশের আক্রমণের পাশাপাশি রাস্তা সংলগ্ন বাড়ির ছাদ থেকে পরিকল্পনা করে মিছিলকারীদের উপর ইট-পাথর ছোড়া হয়েছে । জখম যুবদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর ।
এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের সর্বত্র নাগরিক সমাজকে সরব হওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন বিমানবাবু ৷ এদিকে গতকালের এই ঘটনার নিন্দা করেছেন CPI(M) নেতা মহম্মদ সেলিম ৷ বলেন, আগুন নিয়ে খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এত ভয় যে তিনি নবান্নকে কেল্লা বানিয়ে রেখেছেন ৷ ছাত্র-যুবরা তো মুখ্যমন্ত্রীর মতো বোমা, বন্দুক নিয়ে মহাকরণ দখল করতে যাননি ৷
Be the first to comment