৭ নভেম্বর পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজে স্থগিতাদেশ জারি করলো কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ৭ নভেম্বর মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে হলফনামা দিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে হবে। পাশাপাশি, কলকাতা পৌরনিগমকেও এই মামলায় যুক্ত করতে হবে ৷ রাজ্যের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি বউবাজার এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই ব্যাপারেও হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে ৷
মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে মেট্রোর তরফে আইনজীবী রঞ্জন বাচাওয়াত বলেন, টানেলের জল বন্ধ করা গেছে। দিনরাত বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যে আমরা ৭৮টি বাড়ির কয়েকশো পরিবারকে সরিয়েছি। তাদের বিভিন্ন হোটেলে রাখা হয়েছে। বউবাজার এলাকার কিছু সোনার দোকানকে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার পুরো চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ৮৩টি পরিবারকে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া গেছে। যারা আক্রান্ত তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার সমস্ত ব্যবস্থা করার কাজেই আমরা ব্যস্ত।
অন্যদিকে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী রিজু ঘোষাল বলেন, যা বলা হচ্ছে সেটা লিখিত হলফনামা আকারে দিয়ে বলা হোক। কারণ যা বলা হচ্ছে সেটা কতটা করা হয়েছে সেটা দেখা যাবে। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ৷ ৩ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, হাইকোর্টকে না জানিয়ে পুনরায় কাজ শুরু করবে না তারা। সেইমতো তারা নিজেরা কাজ বন্ধ রেখেছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য বা পরামর্শ নিয়ে 16 সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতকে জানাবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রায় ৯.৮ কিলোমিটারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। আর মাত্র ১ কিলোমিটারের মতো কাজ বাকি আছে । কিন্ত এই কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছে তারা। আর মঙ্গলবার হাইকোর্ট ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সেই কাজের উপর স্থগিতাদেশ জারি করলো।
Be the first to comment