অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ উপাচার্য

Spread the love

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ABVP-এর নবীন বরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বাবুল সুপ্রিয়র ৷ সেই মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন তিনি ৷ এরপরই এসএফআই ও অনান্য সংগঠনগুলির বিক্ষোভের মুখে পড়েন ৷ ওঠে গো ব্যাক স্লোগানও ৷ লাল-কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্ররা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য ও অন্যান্য আধিকারিকরা পৌঁছলে তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাবুল সুপ্রিয় ৷ দুপুর থেকে এক টানা বাবুলকে ক্যাম্পাসে আটকে রাখার পরই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে ফোন করে বলেন, কেন আগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতি তৈরি হতে দেওয়া হল কেন? একই সঙ্গে রাজ্যপাল ফোন করেন মুখ্য সচিব মলয় দেকে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তাঁকে নির্দেশ দেন তিনি। তার পর ৬৮ বছর বয়সী রাজ্যপাল নিজেই গাড়ি নিয়ে রওনা হয়ে যান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।

আর এর মধ্যেই উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ও সহ-উপাচার্য প্রদীপ মিত্র অসুস্থ হয়ে পড়েন। দু’জনকেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন দু’জনের অবস্থাই স্থিতিশীল। রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পড়ুয়াও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ৷ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি ৷ তবে ব্যর্থ হন ৷ অভিযোগ, তাঁর পরামর্শ উপেক্ষা করেই বাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বামপন্থী ছাত্ররা ৷ কিল, চড় মারা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ৷ ক্ষমা না চাইলে কোনও ভাবেই তিনি ক্যাম্পাস ছাড়বেন না বলে, সাফ জানিয়ে দেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ প্রচণ্ড ক্ষোভে ক্যাম্পাসের মধ্যেই অবস্থান শুরু করেন তিনি ৷ জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*