এবার নতুন সিদ্ধান্তের পথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র উপর হেনস্থা ও তারপর এবিভিপি-এর তাণ্ডবের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের সভা করার ওপর বিধিনিষেধ চালু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ইতিমধ্যেই শুরু করছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তবে সামনেই পুজোর ছুটি। তাই তার আগে এইধরণের কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজনৈতিক নেতাদের যে কোনও অনুষ্ঠান তো করা যাবেই না, সেইসঙ্গে সম্পত্তি নষ্ট করলেও সঙ্গে সঙ্গে করা হবে এফআইআর। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ভিডিয়োগ্রাফার নিয়োগ করবে বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার যাদবপুরের ঘটনার দিন থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালেও। অবশেষে সোমবার আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন তিনি। হাসিমুখে নিজের দফতরে পাওয়া গেল তাঁকে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেদিনের ঘটনা নিয়ে মূলত উপাচার্যর ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে একটি রিপোর্ট পাঠালো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাতে বাবুলের নিগ্রহের নিন্দা করা হলেও তার চেয়ে বেশি সমালোচনা করা হয়েছে সেদিন ক্যাম্পাসে এবিভিপি-এর তাণ্ডব নিয়ে।
Be the first to comment