তড়িঘড়ি উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের, রেলব্রিজে লোহার গার্ডওয়াল দিল রেল

Spread the love

এশিয়ার বৃহত্তম ঝুলন্ত রেলব্রিজের উদ্বোধন নিয়ে নতুন করে দেখা দিলো বিতর্ক। রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর এই রেলব্রিজ উদ্বোধন করতে আসবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। অথচ তার আগেই ২৪ ঘণ্টা সময়ের প্রস্তুতিতে রেলব্রিজ উদ্বোধন করতে আসছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ফলে উদ্বোধনকে ঘিরে নতুন করে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে উঠলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বর্ধমান পৌরসভার সামনে যেখান থেকে রেলব্রিজের শুরু তার নিচে মঞ্চ বেঁধে চলছে রাজ্য সরকারের উদ্বোধনের প্রস্তুতি। কিন্তু ঠিক তার উপরে ব্রিজে ওঠার মুখেই রেলের তরফ থেকে লোহার গার্ডওয়াল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। ফলে কেউ ব্রিজে প্রবেশ করতে পারবে না এবং সেখানে রীতিমতো বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের কাজ চলছে। কেউ প্রবেশ করবেন না। তবে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে ব্রিজের কাজ শেষ হয়নি, সেখানে কী ভাবে রাজ্য সরকার উদ্বোধন করতে পারে?

পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, সাধারণ মানুষের হয়রানির কথা ভেবে আমরা দ্রুত রেলব্রিজ খোলার জন্য রেলের কাছে আবেদন করেছিলাম। তাই, ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ করার আর্জি জানানো হয়। আর যেহেতু ব্রিজের বেশিরভাগ খরচ করেছে রাজ্য, তাই রাজ্যের তরফ থেকে মানুষের কথা ভেবে ব্রিজের উদ্বোধন করা হচ্ছে। রাজ্যের দাবি, এই ঝুলন্ত সেতু নির্মাণে রাজ্য সরকার বেশি খরচ করেছে। অথচ কেন্দ্র দাবি করছে, রেলব্রিজ নির্মাণে দুই পক্ষই ৫০ শতাংশ করে খরচ করেছে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন জমি জটে আটকে থাকার পর ২০১১ সালে এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম এই ঝুলন্ত ব্রিজের কাজ শুরু হয়। দুটি পিলারের মাধ্যমে ১৮৮.৪৩ মিটার এই সেতু তৈরি করা হয়েছে। বর্ধমান পৌরসভা ,মেহেদিবাগান, কাটোয়া ও কালনার দিকে মোট চারটি অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হয়েছে। আর সেই সেতুর উদ্বোধন ঘিরেই দেখা দিয়েছে নতুন করে বিতর্ক।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*