যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্থার ঘটনার পর টুইট বিতর্কে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। যাদবপুরের ঘটনার জন্য পড়ুয়াদের কাছে বাবুলকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন বাচিক শিল্পী ঊর্মিমালা বসু। মঙ্গলবার এর পাল্টা টুইটে ঊর্মিমালা বসুকে “ধর্মান্ধ” বলে কটাক্ষ করলেন বাবুল। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে। ABVP-এর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আর সেখানেই TMCP ও SFI সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গেও বচসায় জড়ান। তাঁকে আটক করে রাখে পড়ুয়ারা। এরপর সন্ধের দিকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।
আর এরই মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন ঊর্মিমালা বসু। লেখেন, বাবুলের উচিত বাচ্চাগুলোর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। এই পোস্টের নিচে কুরুচিকর মন্তব্য লিখে মিম করা হয়। সেই পোস্টের বিরোধিতার করেন বাবুল সুপ্রিয়। দুঃখপ্রকাশ করে টুইটারে তিনি লেখেন, আমি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সময় এলে তাঁকে উত্তর দেব।
ঊর্মিমালা বসুর পোস্ট–
এরপর মঙ্গলবার ঊর্মিমালা বসুর ক্ষমা চাওয়া মন্তব্যের পাল্টা টুইট করেন বাবুল সুপ্রিয়। লেখেন, প্রিয় ঊর্মিমালাদি, আপনাকে ও জগন্নাথদাকে অনেকদিন থেকে চিনি তাই ছোট্ট করে লিখছি। আপনি ধর্মান্ধ- আপনার ধর্ম ‘বাম-বাদ’। কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু, আপনি তো জন্মান্ধ নন! তাহলে সত্যিটা কেন দেখতে পান না। দেখতে চান না বলে কি? খুব জানতে’ইচ্ছে করে !!
তবে বাবুলের এই টুইটের এখনও পর্যন্ত প্রত্যুত্তর দেননি ঊর্মিমালা। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা এই টুইট বিতর্ক হয়তো এখনই থামবে না।
Be the first to comment