পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা সফরে দুই রূপ দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ একদিকে দলীয় নেত্রী হিসেবে নির্দেশ দিলেন বিডিও অফিসে গিয়ে তৃণমূল নেতাদের প্রতিদিন বসার জন্য, দেখভালের জন্য। সরকারি প্রকল্পের কোনও সমস্যা নিয়ে আসা মানুষেরা যাতে ফিরে না যান, সে দিকটা নজর রাখতেই নেত্রীর এই নির্দেশ। আর অন্যদিকে, প্রশাসনিক দিক থেকে তিনি এলাকার বিডিওদের গ্রামে গিয়ে সমস্যা শোনার নির্দেশ দেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে সমস্যা শুনতে হবে ও তা সমাধান করতে হবে বলেও জানান তিনি।
কোলাঘাটে রাত্রিযাপন করার পর বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য ডেবরা অডিটোরিয়ামে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম থেকেই সব বিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। বালি খাদান সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিএলআরও সহ সমস্ত আধিকারিকদের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেস নিতে পুলিশের কোথাও সমস্যা হচ্ছে কী না? অনেক ঢিলেমি করছে। সব বিষয়ই জেলাশাসককে জানানোর কথা বলেন তিনি।
ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকদের কাছ থেকে নতুন রাস্তা তৈরি করার কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বাকি কাজগুলো দ্রত শেষ করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে লোধা-শবরের কাছ থেকে জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হলে তিনি বলেন, এক বছরের মধ্যে আইন তৈরি করে দিয়েছি। যে আইনে বলা আছে লোধা-শবরদের জমি কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
এদিনের মিটিংয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, পশ্চিম মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রাম পৌরসভার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। দুই পৌরসভার ভোট না হওয়ায় এখানে সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন এসডিও। এছাড়াও এখানে মেন্টর হিসেবে রাখা হয়েছে বিধায়ক ও প্রাক্তন পৌরপিতাকে। এক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হচ্ছে তাই এগুলো গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এসডিও-দের বেশি করে কাজ করার নির্দেশ দেন মমতা ৷ তিনি বলেন, কোনও এসডিও যদি মনে করেন, যতটুকু কাজ করার করে দিচ্ছি, এ সব কিন্তু চলবে না। সব কাজে সময় দিতে হবে বেশি করে ৷ বিশেষ করে পৌরসভার কাজে ৷ বহু অভিযোগ এসেছে ৷ বিভিন্ন পৌরসভায় রাস্তার আলো জ্বলছে না, সাফাই হচ্ছে না, নোংরা আবর্জনায় ভর্তি। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। তাই সব বিষয়ে নজর দিতে হবে এসডিওদের।
Be the first to comment