নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আইপিএস এস এম এইচ মির্জাকে ১৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার বন্ধ ঘরে শুনানি হয় এই মামলার। আপাতত ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন তিনি। তবে এই মামলায় সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, এস এম এইচ মির্জা প্রভাবশালী। তাঁর সঙ্গে হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতাদের যোগাযোগ আছে। আর সেই সূত্রেই মির্জাকে হেফাজতে চাওয়া হয়েছিল ৷ সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে নগর দায়রা আদালত।
এদিন বন্ধ ঘরে শুনানির পর আদালতের বাইরে এসে মির্জার আইনজীবী বলেন, ২০১৪ সালের স্টিং অপারেশন। ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে পৃথক একটি মামলার পর থেকে উনি সাসপেন্ড। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না মির্জা প্রভাব খাটিয়েছেন। কাউকে ফোন করে কিছু বলেছেন। উনি একজন আইপিএস অফিসার। কোথাও পালাবেন না। একজন সাসপেন্ডেড পুলিশ অফিসার কখনও প্রভাব খাটাতে পারেন না।
নারদা স্টিং অপারেশন নিয়ে ম্যাথু স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মির্জার আইনজীবী বলেন, পুরো বিষয়টা ম্যাথু করেছেন। নারদকাণ্ড নিয়ে ম্যাথু সবচেয়ে ভালো জানবেন। ম্যাথুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। যার কথায় ঘটনা ঘটেছে তিনি এখন বাইরে। আমাদের মক্কেলকে শুধু শুধু আটকে রাখা হবে কেন? তবে দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক মির্জাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই মির্জা ও মুকুল রায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। মির্জাকে নিয়ে রবিবার সকালে মুকুল রায়ের কলকাতার ফ্ল্যাটে চলে আসে সিবিআই এর একটি টিম। সেই টিমে রয়েছেন নারদার তদন্তকারী অফিসার রনজিত কুমারসহ ১২ জন অফিসার। প্রায় ১ ঘন্টা সিবিআই অফিসাররা মুকুলের ফ্ল্যাটে ছিলেন।
Be the first to comment