দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার বউবাজারের রাস্তায় ধরনায় বসলেন দুর্গা পিতুরি লেন ও স্যাঁকরা পাড়া লেনের ব্যবসায়ী ও বেশকিছু বাসিন্দা। যদিও মঙ্গলবার স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেট্রো কর্তৃপক্ষ দোকানিদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বউবাজার এলাকার সোনার দোকানিদের অভিযোগ, মেট্রোর একাধিক দপ্তরে যাতায়াতকরেও কোনও কাজ হয়নি। এক সোনার ব্যবসায়ী রাহুল গুপ্তা বলেন, দুপুর ১২ টা নাগাদ আমরা ধরনায় বসি। আমাদের শুধুমাত্র ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার কথা বলা হয়। আমরা সেই প্রস্তাবটি নাকচ করি। যতদিন না আমাদের পুরোনো দোকান তৈরি হচ্ছে সেই ক’দিন অন্যত্র দোকানের জায়গা দেওয়া হবে বলেও জানান হয়েছিল। তবে যে জায়গাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছিল সেখানে গিয়ে আমাদের কোনও লাভ নেই ৷ কারণ সেখানে সোনার ব্যবসার কোনও বাজার নেই। আজ প্রায় ৩২ দিন হতে চলল আমাদের কোনও উপার্জন নেই, আমরা বাড়িতে বসে দিন গুনছি। ধরনার জেরে বেলার দিকে একটি বৈঠক হয় যেখানে বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন।
ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, যে সমস্ত দোকানঘরগুলি ১০০ বর্গফুটের কম তাদের এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে এবং যাদের ১০০ বর্গ ফুটের বেশি তাদের পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঘটনার ১৪ দিনের মাথায় যাদের দোকান খুলে গিয়েছিল তারা কোন রকম ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবে না। মেট্রো সূত্রে খবর, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে । যদিও সোনার দোকানিদের অভিযোগ, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই এখনও কোনও টাকা হাতে পাননি।
Be the first to comment