SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকারা ডাইয়িং ক্যাডার হয়ে যাবে। প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগের নিয়মের বাইরে আলাদা কোনও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না। একথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানান, কিছুদিন আগে সল্টলেকের ওকাকুরা ভবনে SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যে বেতন বৃদ্ধির কথা তিনি ঘোষণা করেছিলেন তাতে মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন ও অর্থ দফতর তা লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা জারি করে দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “SSK, MSK শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পার্শ্ব শিক্ষকদের সঙ্গে সমতুল করার জন্য বেতন বৃদ্ধি-সহ নানা রকম সুযোগ-সুবিধা আমরা ঘোষণা করেছিলাম। সেটার অনুমোদন মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে অর্থ দফতর লিখিতভাবে জানিয়েছে। আমরা SSK, MSK-দের ইতিমধ্যেই বলেছিলাম আপনারা কোন অপশনে যাবেন, একটা ৬৫ বছর আছে, একটা ৬০ বছর আছে। যে যে অপশনে যাবেন লিখিতভাবে দিলে তা করে দেওয়া হবে। তবে, বেতন বৃদ্ধি হলেও নিয়মের বাইরে গিয়ে তাদের আর কোনও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না বলেও আজ স্পষ্ট জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যা নিয়ম, প্রাইমারি শিক্ষক হতে গেলে যে যোগ্যতা লাগে, যে নিয়মে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, তার বাইরে গিয়ে নতুন করে সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করতে পারব না। তারা যা পাচ্ছেন পাবেন, আমরা কিছু বলব না। তারা ডাইয়িং ক্যাডার হয়ে যাবে। গত ২৯ জুলাই সল্টলেকের রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, SSK শিক্ষক যাদের বেতন আগে ৫ হাজার ৯৫৪ টাকা ছিল তাদের বেতন বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হবে। SSK সম্প্রসারকদের বেতন বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৪০ টাকা হবে। MSK শিক্ষকদের বেতন ৮ হাজার ৯৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩ হাজার ও MSK সম্প্রসারকদের বেতন বাড়িয়ে ১৪ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি, বোনাস-PF-এর সুবিধা দেওয়া হয় ও সকলকে শিক্ষা দফতরের আওতায় আনা হয়।
এ ছাড়া, আজকে উচ্চ শিক্ষা সংসদের নবম বৈঠক হয় বিকাশ ভবনে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। এই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা ব্যবস্থার মতো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। অধ্যাপক নিয়োগের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বারবার যে সমস্ত অনুমোদিত শূন্যপদ আছে সেগুলো পূরণ করবার জন্য বলেছেন কিন্তু, দেখা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা বাস্তবায়িত হয়নি। সব উপাচার্যকে আবেদন করেছি, যত শীঘ্র সম্ভব আপনারা করুন।
তবে, শূন্যপদ পূরণে সংরক্ষণ একটি বড় বাধা বলে জানাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটাও ঘটনা যে, সংরক্ষণ নীতির জন্য কোথাও কোথাও অধ্যাপক নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে দাঁড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু সংরক্ষণ নীতির তো ভাঙা যাবে না। পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষাটা সময় মতো নিতে ও সময়মতো ফল বের করতে হবে। এমনকী, রিভিউয়ের জন্য ৪-৫ মাস সময় নেওয়া যাবে না। কারণ, যে হেতু এখন CBCS সিস্টেম আছে। ফলে, একটা সেমিস্টার শেষ হয়ে গেল, তবু রিভিউয়ের ফল প্রকাশিত হল না। এ রকম কিছু আমরা খবর পেয়েছি। জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়েও এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া, পুজোর পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারদের নিয়ে একটি প্রীতি সম্মেলন করা হবে বলে জানান শিক্ষমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজয়া দশমী উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারদের সকলকে নিয়ে একটা প্রীতি সম্মেলন করা হবে।
Be the first to comment