রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতে জেলাশাসকদের সঙ্গে নবান্নে ভিডিয়ো কনফারেন্স করলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ও স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভিডিয়ো কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন আরও ৮ দফতরের সচিবও। বিপর্যয় মোকাবিলা, সেচ, কৃষি, মৎস্য, জলসম্পদ উন্নয়ন, ক্ষুদ্র, সেচ, পূর্ত,পঞ্চায়েত দফতরের প্রধান সচিবরা উপস্থিত ছিলেন সেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে।
কোন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি কী অবস্থায়? বন্যা মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? ভিডিয়ো কনফারেন্সে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজখবর নেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, যেই সব জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই জেলায় সরকারি কর্মচারীদের পুজোর ছুটি বাতিল করা হবে। পাশাপাশি, আজ থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে মনিটরিং সেল। যারা বন্যা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখবে। একইসঙ্গে পুজোর সময় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে সব জেলার পুলিস সুপারদের সঙ্গেও আজ বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব।
প্রসঙ্গত, দামোদরের জলের ভাসছে হুগলির বিরাট এলাকা। পাশাপাশি বিপুল ওই জলে ডুবেছে হাওড়ার একটি বড় অংশ। কোনও কোনও এলাকায় একতলা সমান জল জমে গিয়েছে। মানুষ আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে বাঁধে। ডিভিসির ছাড়া জলে গত কাল থেকে বিপুল পরিমাণ জল এসে ভাসিয়ে দিয়েছে চাপাড়াঙ্গা, পুরশুড়া, শ্যামপুর, শ্রীরাম পুরের বিরাট অঞ্চল। যে হারে জল বাড়ছে তাতে আরও বড় বিপদের আশঙ্কার ওইসব এলাকার মানুষজন।
জলে ঢুবে রয়েছে একাধিক বাজার। ফলে ব্যবসা বন্ধ। রাস্তাঘাট ভেসেছে। বহু জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অনেকে ত্রিপল টাঙিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুরশুড়া ১ নম্বর অঞ্চল, শ্রীরামপুর, শ্যামপুর অঞ্চলের। দামোদরের জল যে হারে বাড়ছে তাতে করে আরও বড় বিপদের আশংকায় বানভাসীরা।
Be the first to comment