পল মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর
কয়েকদিন টানা নিম্নচাপের জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়াতে সকলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল পুজো নিয়ে। কিন্তু গত দুদিন ধরে ঝকমকে সূর্যের তাপ আর আকাশে কাশ ফুলের ন্যায় খন্ড খন্ড পেঁজা তুলোর মতো মেঘ এই আশ্বিন দুয়ারে সকলের মনে বাড়তি অক্সিজেন জোগালো তা বলাই বাহুল্য। শুক্রবার সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হলো ২০১৯ শারদীয় দুর্গোৎসব। পাঁচ দিনের এই উৎসব শেষ হবে ৮ অক্টোবর। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সারাদেশ এখন আনন্দমুখর। বৃহস্পতিবার পূজো মন্ডপগুলোতে দুর্গার বোধন হয়েছে। এই বোধনের মাধ্যমে দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনা করা হয়। মন্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই বন্দনা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
পুরাণ মতে, রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। বসন্তে পূজার আয়োজন করায় দেবীর এ পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবণের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লংকাযাত্রার আগে শ্রীরামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেছিলেন শরৎকালের অমাবস্যা তিথিতে, যা শারদীয় দুর্গোৎসব নামে পরিচিত। শরৎকালে দেবীর পূজাকে এই জন্যই হিন্দুমতে অকালবোধনও বলা হয়।
জেলার বিগ বাজেটের দুর্গা পুজোর তালিকার মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ হিলি সীমান্তের পুজো হয় সীমান্ত শিখা ক্লাবের। আবার জেলার সদর শহর বালুরঘাটের অভিযাত্রী, নেতাজী স্পোর্টিং, সংকেত ইত্যাদি ক্লাব সহ জেলার গঙ্গারামপুরের ইয়ুথ ক্লাব, চিত্তরঞ্জন ও ফুটবল মাঠের পুজো এই ৪ দিন দর্শকদের নজর কাড়বে তা বলাই বাহুল্য। পুজোর সময় কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা জুড়ে প্রচুর পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাব কতৃপক্ষের দাবী সপ্তমী থেকেই দর্শনার্থীদের পুজো মন্ডপে ঢল নামবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন পূজা কমিটির মন্ডপসহ বিভিন্ন মন্দির ও মন্ডপে দুর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
Be the first to comment