অন্য সাজে শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজকীয় পোশাক পরে, সিংহাসনে বসে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের মণ্ডপে একাদশীর দিন সিঁদুর খেলা দেখলেন তিনি। অফ হোয়াইট রঙের ব্লক প্রিন্টেড ধুতি, টকটকে লাল সিল্কের পাঞ্জাবি, পায়ে লাল নাগরাই আর কাঁধ থেকে পা ছুঁয়ে যাওয়া লম্বা উত্তরীয়। বাড়ি থেকে মণ্ডপে গেলেন শতাব্দী প্রাচীন গাড়িতে চেপে।
সাধারণত সারা বছর পাঞ্জাবি এবং পাজামা পরেই দেখা যায় পার্থবাবুকে। ধুতি সচরাচর তিনি পরেন না। এ দিন লাল পাঞ্জাবির সঙ্গে নকশা করা ধুতি পরে সেকথা স্বীকারও করে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর কথায়, এই নিয়ে জীবনে তিনবার ধুতি পরলাম। প্রথম পরেছিলাম বিয়েতে, দ্বিতীয়বার পরেছিলাম মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময়, আর এই পরলাম।
নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, পুজোর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক পার্থবাবুকে বিশেষ সম্মান দিতেই এই ব্যবস্থা করেছিল ক্লাব। যেহেতু নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ গত কয়েক বছর ধরে রেড রোডের কার্নিভালে অংশ নেয়, সেহেতু আলাদা করে আর বিসর্জনের পর্ব থাকে না। তাই সিঁদুর খেলার মধ্যে দিয়েই একাদশীর অনুষ্ঠান সেরে ফেলা হয়। সেখানে পার্থবাবু ছিলেন এ বারের অন্যতম আকর্ষণ।
শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি পার্থর পাঞ্জাবির রং নিয়ে কথা উঠতেই, তিনি বেশ নাটকীয় ভাবেই উত্তর দিয়ে বলেন “লাল পাঞ্জাবি তাতে কী? সিঁদুরের রং লাল, রক্তের রং-ও লাল। লাল সিঁদুর, লাল আলতা পরতে পারলে পাঞ্জাবি নয় কেন।
শুধু তাই নয় তিনি আরও প্রশ্ন ছুড়ে দেন লাল এর প্রতি এত বিদ্বেষ কেন?। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, জামা কাপড়ের রং শুধু আপেক্ষিক মাত্র, তাতে কিছু এসে যায় এর কারণে তার আদর্শ যে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না, তা স্পষ্ট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দেখুন ছবি-
Be the first to comment