চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সামনে দেশের স্থাপত্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নানা দিক তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সময়মতো নৈশভোজও সারলেন দু’জনে ৷ এর মাঝেই উঠে এল দেশের বাণিজ্যিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি, সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ সহ একাধিক ইস্যু। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সেই বৈঠকেরই নির্যাস তুলে ধরলেন বিদেশ সচিব বিজয় কে গোখলে।
ভারত ও চিন, দুই দেশের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদ। তা দমন করতে যৌথভাবে কাজ করতে হবে দুই দেশকে ৷ দুটি দেশই খুব বৈচিত্র্যপূর্ণ ৷ নানা ধর্ম, সংস্কৃতির মানুষ একইসঙ্গে বাস করে ৷ সেক্ষেত্রে যৌথভাবেই সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের মোকাবিলা করতে হবে দুই দেশকে। যাতে এই বিষয়গুলি মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে এবং সমাজের উপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে ৷
সন্ত্রাসবাদ দমনের পাশপাশি দুই দেশের বাণিজ্যিক পরিস্থিতি নিয়েও আলাপ-আলোচনা হয়। আলোচনা হয় নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুঁজে বার করা নিয়ে ৷ চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ঘাটতি, বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করা সহ একাধিক ইস্যুতে কথা বলেন মোদী ও শি জিনপিং।
এছাড়াও জাতীয়ক্ষেত্রে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি সরকার পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলিও উঠে আসে আলোচনায় ৷ অর্থনৈতিক বিষয়েও আলোচনা হয়েছে ।
দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ও মূল্য নিয়েও কথা হয় ৷ বাণিজ্যিক ঘাটতি ও অসম বাণিজ্যিক পরিস্থিতির বিষয়টিও উঠে আসে ৷
তামিলনাড়ুর মমল্লপুরমের সঙ্গে চিনের ফুজিয়ান প্রদেশের বহুদিনের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথাও উঠে আসে ৷
আলোচনা চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, দ্বিতীয়বার নির্বাচিত করার মাধ্যমে দেশবাসী তাঁকে দেশের অর্থনীতির হাল ধরার দায়ভার দিয়েছেন ৷ মোদীর দ্বিতীয়বার জয়লাভ ও এই দায়ভারকে স্বাগত জানান শি জিনপিং ৷ চিনপিং জানিয়েছেন, আগামী সাড়ে চার বছর সমস্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
মমল্লপুরমের প্রাচীন মন্দির পরিদর্শনের ফাঁকে প্রকৃতি, মানুষ ও জীবজন্তুর একসঙ্গে বেঁচে থাকার দর্শন, প্রাচীন স্থাপত্যের ঐতিহাসিক দিকের নানা কথা উঠে এল দুই দেশ প্রধানের মধ্যে ৷ ভারত চিনের বাণিজ্যিক এবং বৌদ্ধ ধর্মের সংযোগের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মোদী ৷
Be the first to comment