আশঙ্কার মেঘটা ছিল আগে থেকেই ৷ এবার তা আরও বাড়িয়ে দিল বিশ্ব ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস ৷ আগামী দিনে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার দ্রুত গতিতে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়ে রাখল বিশ্ব ব্যাঙ্ক ৷ কিছুদিন আগেই মুডিজ় ইনভেস্টরস সার্ভিসের সমীক্ষা থেকেও একই তথ্য উঠে এসেছিল ৷
বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, ভারতের বিপুল বেকারত্বের বোঝা এই আর্থিক সংকটের অন্যতম কারণ ৷ GST এবং নোটবন্দির মতো আর্থিক নীতিগুলিকেও দায়ী করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ৷ একের পর এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্টে ভারতের এই আর্থিক অবক্ষয়ের পূর্বাভাস নিঃসন্দেহে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে অর্থনীতিবিদদের কপালে ৷ ভারত, পাকিস্তান সহ একাধিক উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে অনুমান করছে। রবিবার সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক ফোকাসে একথা জানানো হয় বিশ্ব ব্যাঙ্কের তরফে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে, বাংলাদেশ ও নেপালের থেকেও পিছিয়ে পড়বে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৷
২০১৮-১৯ সালে এই আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৯ শতাংশ ৷ সেখান থেকে এই বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে এদিন জানায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক ৷ মুডিজ ইনভেস্টরস সার্ভিসের সমীক্ষাতেও বলা হয়েছিল ৫.৮ শতাংশে নেমে আসবে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৷ কিছুদিন আগে পর্যন্তও অনুমান করা হচ্ছিল ২০২২ সালের মধ্যে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ পৌছাবে। বিশ্বের আর্থিক বাজারকে ভারত বেশ চনমনে করে তুলতে পারবে বলেই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি কিন্তু অন্য কথা বলছে। ২০১৭-১৮ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.২ শতাংশ ৷ তারপর থেকেই কমতে শুরু করে ৷ গত বছরে ছিল ৬.৮ শতাংশ ৷
কিন্তু কেন এই বেহাল অর্থনীতি ?
জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০২০ আর্থিক বর্ষের শুরু থেকেই এটা অনুমান করা হচ্ছিল ৷ গাড়ির বাজারে চাহিদা কমতে শুরু করে ৷ শুধু অটোমোবাইল শিল্পই নয় ৷ সব বাজারেই চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে শিল্পক্ষেত্র দুর্বল হয়ে পড়েছে ৷ পাশাপাশি চলতি বছরে GDP ঘাটতির হার ২.১ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে ৷
Be the first to comment