পুজো মেটার পরই দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে আবারও নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দুপুর ৩টেয় তৃণমূল ভবনে দলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক সারবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সূত্রের খবর, পুরভোটকে সামনে রেখে এই বৈঠক থেকে একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা ঘোষণা করতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। পুরভোটে কাদের কাদের প্রার্থী করা হবে, সে ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে এদিনের বৈঠকে। পাশাপাশি এনআরসি ইস্যু, বাংলায় রাজনৈতিক খুনের ঘটনাকে যেভাবে হাতিয়ার করে মাঠে নামছে বিজেপি, তা মোকাবিলায় দলের রণকৌশল কী হবে, সে বিষয়েও দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিতে পারেন মমতা। এদিনের বৈঠকে থাকার কথা নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের।
জানা যাচ্ছে, বাংলায় বেশ কয়েকটি পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি পুরসভার মেয়াদ শেষের পথে। এই অবস্থায় নতুন বছরের শুরুতে পুরভোটের প্রয়োজন রয়েছে। ফলে তার আগে গোটা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চায় তৃণমূল। আর সে কারণেই ব্লক, টাউন, জেলা নেতৃত্বের মুখোমুখি হচ্ছেন মমতা। সূত্রের খবর, এনআরসি ইস্যুতে দলের রণকৌশল নিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে এদিন দাওয়াই দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, এই মুহূর্তে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির ‘অপপ্রচার’ রুখতে কী কৌশল নেওয়া হবে, সে ব্যাপারেও দলকে বিশেষ বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অন্যদিকে, দলবদলের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পর সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এদিকে, বিজেপিতে গিয়ে কার্যত কোণঠাসা শোভন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, উনিশের নির্বাচনে বাংলায় ধাক্কা খাওয়ার পর থেকেই দলীয় সংগঠনে বাড়তি নজর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে জনসংযোগে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূলনেত্রী। একদিকে যেমন ‘দিদকে বলো’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তেমনই জেলায় জেলায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে তৃণমূলের মন্ত্রীদের রাত্রিযাপনের ছবিও চর্চিত হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মোতাবেকই কৌশলে এক এক করে পা ফেলছে তৃণমূল বাহিনী।
Be the first to comment