রেড রোডে কার্নিভাল ইস্যুতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের পাশেই দাঁড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্যপাল ঠিক কথাই বলেছেন। ওনাকে ডেকে অপমান করা হয়েছে। উনি যাতে লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকেন সেকারণেই আলাদা জায়গায় বসানো হয়েছিল তাঁকে। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে এটা অপমানজনক। সেটাই উনি বলেছেন। উনি সত্য কথাই বলছেন। আর তাই হয়তো সরকারের কাছে উনি অস্বস্তিকর। বিজেপি রাজ্য সভাপতির সাফ কথা, উনি চোখ দিয়ে দেখেন। কান দিয়ে দেখেন না।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর রেড রোডে কার্নিভালের আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকার। তাতে দেখা যায়, মূল মঞ্চে বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে সরকারি আমলা থেকে শুরু করে অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় পর্যন্ত রয়েছেন। কিন্তু রাজ্যপালের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে একটি পৃথক মঞ্চে। সেখানে বিদেশি অতিথিরাও ছিলেন। এই ঘটনার পর রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর অভিযোগ, দুর্গাপুজোর কার্নিভালের মঞ্চে ডেকে তাঁকে অপমান করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গেই রাজ্যপাল মঙ্গলবার বলেন, রাজ্যের প্রথম নাগরিককে যে ভাবে আলাদা করে বসিয়ে কোণঠাসা করা হল তা দুঃখজনক শুধু নয়, লজ্জাজনকও বটে। তাঁর কথায়, আমাকে এমন জায়গায় বসতে দেওয়া হয়েছিল যে কার্নিভালের অনুষ্ঠানই আমি দেখতে পাইনি। সামনে কুড়ি বাইশ জন লোক ব্লক করে বসেছিলেন। আমাকে অনেক বার আসন বদলাতে হয় ভাল করে অনুষ্ঠানটি দেখার জন্য। তাঁর প্রশ্ন, এটা কি সৌজন্য? রাজ্যপালের পদ হল সাংবিধানিক পদ। পদেরই মাহাত্ম্য, ব্যক্তি সেখানে বড় নয়। তাঁর সঙ্গে কি এমন আচরণ করা যায়? রাজ্যপাল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত।
যদিও রাজ্যপালের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক তাপস রায় ৷ তিনি বলেন, “ছিঃ ছিঃ ছিঃ! রাজ্যপাল যদি এ কথা বলে থাকেন তা হলে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ওনাকে সম্মান দিতেই পৃথক মঞ্চ গড়ে তাঁকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। আমি জানি না উনি কী চাইছেন! কেন এরকম বলছেন! যদিও রাজ্যপালের মতে, এটা একেবারেই সরকারের শীর্ষ কর্তাদের অজান্তে হয়েছে বা ভুলবশত হয়েছে তা তিনি মনে করেন না। বরং তাঁর মতে, একটা সুনির্দিষ্ট ভাবনা নিয়েই রাজ্য প্রশাসন তাঁর সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছে। তাঁকে ডেকে এনে অপমান করাই ছিল উদ্দেশ্য।
Be the first to comment