জিয়াগঞ্জে শিক্ষক পরিবারকে হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন পরিজনরা। শুক্রবার বিকেলে নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর স্ত্রী বিউটি পালের পরিজনরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন তাঁরা। তবে এদিন নবান্নে আসার আগে ভবানী ভবনে CID আধিকারিকদের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা ৷
তবে এদিন নবান্ন ছাড়ার সময় বন্ধুপ্রকাশ পালের মামাতো ভাই রাজেশ ঘোষ জানান, পুলিশের ভূমিকায় তারা অত্যন্ত খুশি। ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও প্রকার সম্পর্ক নেই। রাজেশ আরও বলেন, ঘটনা ঘটার পর থেকেই প্রত্যেকটি মুহূর্তে পুলিশ পরিবারের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করতে আসিনি। মুখ্যমন্ত্রী আমদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন তাই আমরা এসেছি। আমরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনওরকম ক্ষতিপূরণ দাবি করিনি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সমবেদনা জানিয়েছেন। দোষীদের যথাযথ শাস্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। আমরা খুশি। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
উল্লেখ্য, বিজয়া দশমীর দিন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল, ছেলে অঙ্গনকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে উৎপল বেহেরা নামে এক রাজমিস্ত্রিকে। পাশাপাশি এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বন্ধুপ্রকাশের বন্ধু সৌভিক বণিককে।
কিন্তু ৫ মিনিটে তিন খুন কীভাবে সম্ভব, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পুলিশের দাবি উড়িয়ে এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। অন্যদিকে, জিয়াগঞ্জে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে নিহত বন্ধুপ্রকাশ পালের বন্ধু সৌভিক বণিককে। মঙ্গলবার রাতে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সৌভিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎপলের দেওয়া তথ্যে বহু অসঙ্গতি মিলেছে। এছাড়া বিমার সংস্থায় লগ্নি সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে সৌভিক বণিককে। এ ব্যপারে মুর্শিদাবাদের জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ বলেন , ‘‘সৌভিক নানা সময় সাগরদিঘি এলাকার মানুষকে বাড়তি লাভের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি লগ্নি সংস্থায় লগ্নি করাত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কী বললেন বন্ধুপ্রকাশের পরিজনরা?
শুনুন!
দেখুন ছবি-
Be the first to comment