তথাগত রায়, দিলীপ ঘোষ, পীযূষ গোয়েলের পর নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে এবার বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। ‘যাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদেশি, তাঁরাই নোবেল পাচ্ছেন’, এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। আর রাহুলের এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বাংলার বিভিন্ন রাজনীতিক।
শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমে নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বঙ্গ বিজেপি নেতা বলেন, যাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদেশি হন, মূলত তাঁরাই নোবেল পাচ্ছেন। নোবেল পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা ডিগ্রি কিনা জানি না। উল্লেখ্য, অর্থনীতিতে এবার অভিজিতের সঙ্গে নোবেল পেয়েছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী এস্থার ডাফলো।
অন্যদিকে, পীযূষ গোয়েলের পাশে দাঁড়িয়ে রাহুল বলেন, ওঁরা (নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়) অর্থনীতিকে বামপন্থী রীতিতে রাঙিয়ে দিয়েছে। বামপন্থা রীতিতে চালাতে চায় ওঁরা। কিন্তু বামপন্থা রীতি তো এদেশেই অচল হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, এদিনই নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, আমি নোবেল জয়ের জন্য অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কিন্তু আপনারা তো সবাই জানেন যে ওঁর চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণই বামপন্থী মতাদর্শের। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের ‘ন্যায়’ প্রকল্পের অনেক গুণগান করেছিলেন। সেই ভাবনা পরবর্তীকালে ভারতের জনগণই খারিজ করে দিয়েছেন।
এদিকে, রাহুল সিনহা ও পীযূষ গোয়েলের এহেন মন্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন বাংলার রাজনীতিবিদরা। রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, এসব অসভ্য কথার জবাব দেব না। দেশের মানুষ এর বিচার করবে। তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, একজন ভারতীয় নোবেল পেলে যে সম্মান দেওয়ার কথা, তিনি যদি তা না দেন, তবে তাঁরই অসম্মান হয়। বাঙালি বলে কি এত সমস্যা? বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এঁদের কথা বলার যোগ্যতাই নেই। ওঁরা বাংলা বিরোধী, বাঙালি বিরোধী। ফাজলামি করার জায়গা নয় পশ্চিমবঙ্গ।
Be the first to comment