গতবছর কোচবিহার থেকেই বিজেপির রথ যাত্রার সূচনা হওয়ার কথা ছিল। প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেও আদালতের নিষেধাজ্ঞার ফলে রথ যাত্রা শুরুই করতে পারেনি বিজেপি। এবার গান্ধী সংকল্প যাত্রা নিয়ে ধুন্ধুমার ঘটে গেল কোচবিহারেই। এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে উত্তাল কোচবিহার। একদিকে, গান্ধী সংকল্প যাত্রার সংঘর্ষে কোচবিহারে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহার। বিজেপির আক্রমনের প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে বিজেপির দাবি, ওঁর পরিবারের সদস্যরাই তো বলেছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন মজিরুদ্দিন সরকার। এই যাত্রা আটকানোই তৃণমূলের মূল উদ্দেশ্য। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, গান্ধীজির খুনের আসামীকে শহিদের মর্যাদা দিচ্ছে। তারাই গান্ধী সংকল্প যাত্রা করছে। আমাদের দলীয় কার্যালয় বোমা মেরে উড়িয়ে দিল। ওরা সংকল্প যাত্রায় সঙ্গে করে বোমা নিয়ে এসেছিল। ওদের সংকল্প যাত্রার মিছিলের মধ্য থেকে বোমা ছোড়া হয়। ওদের বাধা দিতে গিয়েছিল মজিরুদ্দিন। তাঁকে আক্রমন করেছে। সে মারা গিয়েছে। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামব।
বিজেপির দাবি, তৃণমূল কর্মী খুন বা দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে দল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। দলের জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, ‘‘আমরা ওখানে পৌঁছানোর আগেই ঘটনা ঘটেছে। ওর দাদা বলেছে কেউ মারেনি। হৃদরোগে মারা গিয়েছে। কেউ সাপে কেটে বা দীর্ঘ রোগভোগে মারা গেলেই বিজেপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল। ওদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিচ্ছি, ময়নাতদন্ত করা হোক। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। তারপর আমাদের দোষ দিক।
বিজেপির আরও দাবি, পুন্ডিবাড়িতে আমাদের ৫২জনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। কীসে ওই মৃত্যু হয়েছে তার জন্য আদালতে নথিপত্র পেশ করব।
Be the first to comment